জেডটিভি বাংলা ডেস্ক:
জুলাই মাসের অভ্যুত্থান দমানোর চেষ্টার সঙ্গে সম্পর্কিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছে প্রসিকিউশন।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ দাবি জানান।
মামলার অপর আসামি, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন ইতিমধ্যেই নিজের দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রধান কৌঁসুলি জানান, “সাবেক আইজিপি মামুন তার জবানবন্দিতে ঘটনা সম্পর্কে সত্য প্রকাশ করেছেন। তার বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল সিদ্ধান্ত নেবে।”
পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন মো. আমির হোসেন। তিনি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য এক সপ্তাহ সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। ট্রাইব্যুনাল আগামী সোমবার থেকে যুক্তিতর্ক শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিচার চলেছে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আন্দোলন দমনে ১৪০০ জনকে হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও নির্দেশদানের অভিযোগ, ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ এবং ‘জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজ’-সহ মোট পাঁচ অভিযোগে বিচার শুরুর আদেশ দেয়।
মামলার ৫৪তম ও শেষ সাক্ষী ছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীর। গত ৬ অক্টোবর তার জেরা শেষ করেন আসামি পক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন।
এ ঘটনায় জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার শেষ করার দাবি জানিয়ে আসছে। আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, তিনি আশা করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলেই এই বিচার শেষ হবে।