October 27, 2025, 5:28 pm
Headline :

মিত্রদের জন্য ৪০ আসন ছাড়তে পারে বিএনপি

মিত্রদের জন্য ৪০ আসন ছাড়তে পারে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আসন ভাগাভাগি নিয়ে মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বিএনপি। দলটির ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, এবার কৌশলগতভাবে সর্বোচ্চ ৪০টি আসন শরিকদের জন্য ছেড়ে দিতে পারে বিএনপি।
২১৭ আসনের দাবি, ছাড় মিলতে পারে ৪০টি
যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত বিভিন্ন দল ইতিমধ্যে ২১৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম বিএনপিকে দিয়েছে।
তালিকায় রয়েছেন—
গণতন্ত্র মঞ্চ (১৩৮টি আসন),
১২ দলীয় জোট (২১),
এলডিপি (১৩),
গণফোরাম (১৫),
লেবার পার্টি (৬),
এনডিএম (১০),
জাতীয় পার্টি-বিজেপি (৫)।
এর মধ্যে কিছু দলের প্রতিনিধি সরাসরি লন্ডনে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে প্রার্থীদের তালিকা হস্তান্তর করেছেন।
শরিকদের জন্য কঠিন মানদণ্ড বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, এবার আসন ছাড়ে প্রাধান্য পাচ্ছে জয়ের বাস্তব সম্ভাবনা।
দলটির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, অতীতে রাজপথের লড়াইয়ে সক্রিয় দলগুলোকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে। তবে ২০১৮ সালের মতো বড় পরিসরে ছাড় নয়।
স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন,
“শরিকদের আসন দেওয়া হবে, যেখানে তারা বিজয়ের সম্ভাবনা রাখে।”
যাঁরা পাচ্ছেন সবুজ সংকেত সূত্র জানায়, জরিপ ও মাঠপর্যায়ের গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে কিছু মিত্র নেতাকে ‘সবুজ সংকেত’ দেওয়া হয়েছে।
তারা হলেন:
মাহমুদুর রহমান মান্না (বগুড়া-২)
জোনায়েদ সাকি (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬)
মোস্তফা জামাল হায়দার (পিরোজপুর-১)
শাহাদাত হোসেন সেলিম (লক্ষ্মীপুর-১)
সৈয়দ এহসানুল হুদা (কিশোরগঞ্জ-৫)
ববি হাজ্জাজ (ঢাকা-১৩)
আন্দালিব রহমান পার্থ (ঢাকা-১৭)
ড. রেদোয়ান আহমেদ (কুমিল্লা-৭)
ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ (নড়াইল-২)
তাদের অনেককে এলাকায় সক্রিয় হওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
নতুন সংলাপ: এনসিপি’র সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা
বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
যদিও এনসিপি নেতারা বলছেন, তারা ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে চান এবং জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক জোটে যাবেন না। তবুও বিএনপির নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, এনসিপির সঙ্গে ভবিষ্যতে “সহযোগিতার জায়গা” তৈরি হতে পারে।
আগামী সপ্তাহেই চূড়ান্ত ইঙ্গিত বিএনপি সূত্র বলছে, চলতি অক্টোবর মাসের মধ্যেই শরিকদের জন্য চূড়ান্ত আসন তালিকা ঠিক হবে।
প্রার্থীদের ‘সবুজ সংকেত’ দেওয়া হবে দলীয় হাইকমান্ড থেকে। তবে প্রার্থিতা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে তফসিলের পর।

বিশ্লেষণ:
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপির সীমিত আসন ছাড়ের কৌশল নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ ও বাস্তববাদী অংশীদারিত্বের ইঙ্গিত দিচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page