নিজস্ব প্রতিবেদক :
সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, “আজ ৭২+ বছর বয়সে যদি আমাকে সেফ এক্সিটের কথা ভাবতে হয়, তবে তা হবে গভীর দুঃখের বিষয়।”
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে ‘উপদেষ্টার রোজনামচা: চালকের হেলমেট নাই, ও সেফ এক্সিট’ শিরোনামে একটি দীর্ঘ পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফাওজুল কবির খান জানান, সকালে ট্রেনে করে ভৈরব যান এবং সেখান থেকে গাড়িতে করে আশুগঞ্জ রেলস্টেশন পরিদর্শন করেন। স্টেশনের বেহাল অবস্থা এবং নাগরিক দুর্ভোগের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, নারী ও বৃদ্ধদের জন্য স্টেশনটিতে ওঠানামা করা কঠিন। রেলের মহাপরিচালককে ত্রুটি নিরসনের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
সরাইলের পথে যানজটে আটকে পড়ায় বাধ্য হয়ে মোটরসাইকেলে চড়েন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আশপাশে একমাত্র একটি হেলমেট পাওয়া যায়—যা তিনি নিজে পরেছিলেন। চালকের জন্য হেলমেট না পেয়ে পুলিশ ও প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
সরাইল বিশ্বরোডে যানজট পরিস্থিতি
উপদেষ্টা জানান, সরাইল চৌরাস্তার চলমান নির্মাণকাজ যানজটের বড় কারণ হলেও, মূল সমস্যা চালকদের শৃঙ্খলাভাব ও হাইওয়ে পুলিশের দুর্বলতা। ভারতীয় ঋণে বাস্তবায়িত প্রকল্পে ঠিকাদারি জটিলতা থাকলেও, এখন পুনরায় কাজ শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, “রাস্তার সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় দুই লেনের রাস্তা কোথাও চার লেনে পরিণত হয়েছে, যা যানজট বাড়াচ্ছে।”
এই সমস্যা সমাধানে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর সঙ্গে পরামর্শ করে ছয়টি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। ইতোমধ্যে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীসহ ১২ জন কর্মকর্তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ‘সেফ এক্সিট’ প্রসঙ্গে সরাসরি মন্তব্য এড়িয়ে গিয়ে ফাওজুল কবির খান বলেন, বিষয়টি যিনি তুলেছেন, সেই প্রাক্তন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম তার শ্রদ্ধেয়। তিনি রাজনীতিতে মন্তব্য করতে চান না।
ফেসবুক পোস্টে নিজের দায়িত্ব পালনের কথা উল্লেখ করে তিনি লেখেন, “পদে থেকেও কোনো আত্মীয়কে চাকরি বা ব্যবসায় সুযোগ দিইনি। যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার সুযোগ পেয়েও গ্রহণ করিনি।”
সবশেষে দুঃখ প্রকাশ করে লেখেন:
“তাই, আজ ৭২+ বছর বয়সে যদি আমাকে সেফ এক্সিটের কথা ভাবতে হয়, তা হবে গভীর দুঃখের বিষয়!!!”