October 27, 2025, 10:44 pm
Headline :

জোবাইদা জাইমা ও দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞ তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক :

দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর গণমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিবিসিকে দেওয়া দীর্ঘ ৪৪ মিনিটের সাক্ষাৎকারের মধ্যে তিনি তার পরিবার ও নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

এই সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বিবিসি বাংলার সম্পাদক মীর সাব্বির ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কাদির কল্লোল। সাক্ষাৎকারটির দ্বিতীয় পর্ব আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা।

জবাবদিহিতার কথা বলছিলেন। এ প্রসঙ্গে বলি, গত ১৭ বছর আপনি নির্বাসনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ায়, এটা একটা ভিন্ন পরিস্থিতি। নেতৃত্ব নিয়ে আপনার চিন্তাধারায় কি ধরনের পরিবর্তন এসেছে? আপনি কি অনুভব করেন, অনুধাবন করেন?

উত্তরে তারেক রহমান বলেন, গত ১৭ বছর প্রবাস জীবনে আছি এবং অনেকগুলো বছর আমি বাংলাদেশের সঙ্গে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা টাইম ডিফারেন্স, ডিস্টেন্স ডিফারেন্স তো আছেই। রিচিং ডিফারেন্স তো একটা ডিফিকাল্টিস তো আছেই। এটি একটি বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এক্ষেত্রে প্রথমেই আমি আমার পরিবার অর্থাৎ আমার স্ত্রী এবং আমার সন্তানকে এখানে ধন্যবাদ দিতে চাই। কারণ তাদের সহযোগিতা না থাকলে হয়তো এই কঠিন কাজটি করা আমার জন্য আরও কঠিন হতো। ওনাদের সহযোগিতা ছিল সেজন্য আমার পক্ষে সম্ভব হয়েছে।

একই সঙ্গে আমি আবারও ধন্যবাদ দিতে চাই আমার লাখ লাখ নেতাকর্মীকে। যারা এই কঠিন সময়ের মধ্যে থেকেও আমাকে সহযোগিতা করেছেন। দলকে সুসংগঠিত রাখতে, দলকে রাজপথে নিয়ে যেতে শত অত্যাচার বাধাবিঘ্ন সহ্য করেছেন এবং জনগণের কথা তুলে ধরতে, তাদের দাবির ব্যাপারে সোচ্চার থাকতে সহযোগিতা করেছন।

তিনি বলেন, আপনি জিজ্ঞেস করেছেন মনে হয় যে, এখান (যুক্তরাজ্য) থেকে কি কি দেখেছি, শিখেছি বা জেনেছি- আমি মনে করি যে, এই দেশ থেকে ভালো যা কিছু দেখেছি বা শিখেছি, দেশের নাগরিক হিসেবে এবং যেহেতু আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হয়তো আমার একটি সুযোগ আছে দেশের জন্য ভালো কিছু করার। যদি আমি ইনশাআল্লাহ সেই সুযোগ পাই, তাহলে সেই সুযোগকে যতটুকু সম্ভব দেশের মানুষের জন্য বা দেশের জন্য কিছু করার, এভাবে বিষয়টিকে আমি বিবেচনা করি।

দু বছর আগে ২০২৩ সালে আপনারা ৩১ দফা দিয়েছেন। সেই ৩১ দফাতেই আপনারা সংস্কারের যেসব বিষয় এনেছেন, সেখানে রাষ্ট্রপতি- প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনার কথা বলেছেন। তাহলে এই বিষয়গুলোতে আপত্তি কেন?

জবাবে তারেক রহমান বলেন—না, আমরা যেটাতে বলেছিলাম, আমরা সেখানে এখনো আছি। যতটুকু ভারসাম্য হওয়া উচিত, যে যে বিষয়ে যতটুকু বিবেচনা করা উচিত, আমরা সে বিষয়ের মধ্যে এখনো কমবেশি আছি। আমাদের অবস্থান থেকে তো আমরা অবস্থান পরিবর্তন করিনি।

কিন্তু মূল যে বিষয়গুলো, যেমন যেটা বড় বিরোধ হিসেবে আসছে, বড় মতপার্থক্য হিসেবে আসছে যে, এক ব্যক্তির তিন পদে একসঙ্গে থাকা সেখানেই তো আপত্তিটা থাকছে বিএনপির?

উত্তরে তিনি বলেন, না, আমরা তো তখনো বলিনি যে এক ব্যক্তি তিন পদে থাকতে পারবেন না। এটা অন্যরা কেউ বলেছেন যে, এক ব্যক্তি তিন পদে থাকতে পারবেন না। আমরা মনে করি না যে, এটাতে স্বৈরাচারি হওয়ার কোনো কারণ আছে।

আমরা তো দেখেছি স্বৈরাচারের সময়ও এবং তার আগে তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু তাদের টু থার্ড মেজরিটি ছিল। টু থার্ড মেজরিটি ২০০৮ সালে তারা নিয়েছিলেন। তারা ওটাকে চেঞ্জ করে ফেলেছেন। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা রাখেনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page