মো. জোনাব আলী
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ক্ষমতাশীলদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করলেও শেখ হাসিনার শাসনামলে তাদের ওপর এমন বর্বরোচিত হামলার শিকার হতে হয়নি। শনিবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথাই বলেন।
নুর অভিযোগ করেন, গত আগস্টে বিজয়নগর সংঘর্ষের পর পুলিশ ও আনসার-র্যাবের লাঠিপেটায় তিনি গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন; মাথায় আঘাত লেগেছে এবং নাকের হাড় ভেঙে যায়। তিনি এটিকে “টার্গেট অপারেশন” আখ্যা দিয়ে বলেন, তাঁর ওপর হামলা করে অন্যদের উদ্দেশ্যে একটি সংবেদনশীল বার্তা পাঠানো হয়েছে।
নুর দাবি করেন, যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত—চাই তারা যেই স্থানীয় বা যে হোক—তাদের বিরুদ্ধে বিচার হওয়া উচিত। তিনি বলেন, “যদি কেউ পরবর্তী সিরিয়ালে পড়তে না চায়, তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করে চাকরিচ্যুত করতে হবে।” নুর আরও বলেন, অন্যান্য রাজনৈতিক নেতারা যদি নিরাপদ থাকতে চান তারা এ ঘটনার কঠোর বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বর্তমান সরকারের ওপরও তীব্র সমালোচনা তোলেন—আগের বিবাদিত নির্বাচনের পরিস্থিতি এবং বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের স্মরণ করে তিনি বলেন, বিচারহীনতা থাকলে ভবিষ্যতে পুনরায় এমন অঘটন ঘটতে পারে। নুর সরকারের গঠিত তদন্ত টির কাজকে কার্যকরি নয় বলে অভিহিত করে বলেন, প্রতিবেদন এখনও প্রকাশিত হয়নি এবং সময় অনেক কেটে গিয়েছে।
নুর আরও বলেন, দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও নির্বাচন নিয়ে যে বিভাজন দেখা দিচ্ছে, তা কাটিয়ে উঠতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ অপরিহার্য। তিনি আশঙ্কা ব্যক্ত করেন—যদি আগের মতোই নির্দিষ্ট পক্ষকে সমর্থন করে নির্বাচন পরিচালিত হয়, তাহলে দেশ আবার সংকটে পড়বে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ আগস্ট রাজধানীর বিজয়নগরে জাপা ও গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর নুরুল হক নুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটায় গুরুতর আহত হন। এরপর তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন এবং শারীরিক চিত্রের ক্ষত-বিক্ষত অবস্থা ও দ্রুত বিচার দাবি নিয়ে ফিরে এসেছেন।