জেডটিভিবাংলা ডেস্ক
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ভাষণকে ঘিরে একদিকে ওয়াকআউট, অন্যদিকে অনুপস্থিতি— দুই নিয়েই চলছে আলোচনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছিল, ওই সময় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের অবস্থান কী ছিল?
পররাষ্ট্র দপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল আসন গ্রহণ করেনি। সেদিন নিউইয়র্ক সময় সকাল ৯টায় প্রথম বক্তা হিসেবে ভাষণ দেন নেতানিয়াহু। এ সময় বেশ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধি কক্ষ ত্যাগ করেন। তবে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল তখনও অধিবেশন হলে প্রবেশ করেনি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণ ছিল সপ্তম বক্তৃতা হিসেবে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে। তার আগে তিনি ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন। তাই নেতানিয়াহুর বক্তব্য চলাকালে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন না।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও নিশ্চিত করেছেন, নেতানিয়াহুর বক্তব্যের সময় তারা উপস্থিত ছিলেন না। তিনি বলেন, “আমরা অধিবেশন হলে গিয়েছি আমাদের সময় অনুযায়ী। প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য দেওয়ার সময় আমরা সেখানে ছিলাম।”
অন্যদিকে, প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া যে ছবি দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলকে নেতানিয়াহুর বক্তব্যের সময় উপস্থিত বলা হচ্ছে, সেটি মূলত ড. ইউনূসের ভাষণের আগে তোলা।
অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জোরালো দাবি জানান। তিনি বলেন,
“গাজায় আজ শিশুদের না খেয়ে মারা যাওয়া, নির্বিচারে বেসামরিক হত্যা— এগুলো বিশ্বের চোখের সামনেই ঘটছে। এটি এক ধরনের গণহত্যা। এর অবসানে যদি বিশ্ব এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ইতিহাসে আমাদের ক্ষমা করবে না।”
তিনি আরও বলেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হলো— পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের পূর্বের সীমারেখা অনুযায়ী দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান বাস্তবায়ন।