আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বিশ্বের বৃহত্তম বহুজাতিক বাণিজ্য সংস্থা রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি)-এ অন্তর্ভুক্তির পথে বড় অগ্রগতি পেল বাংলাদেশ। সংস্থাটি বাংলাদেশসহ আরও তিন অর্থনীতিকে (শ্রীলঙ্কা, চিলি ও হংকং) অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে ইতিবাচক সংকেত দিয়েছে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
আরসিইপি মূলত চীনের নেতৃত্বাধীন বাণিজ্য জোট, যেখানে রয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং আসিয়ানভুক্ত ১০টি দেশ—থাইল্যান্ড, ব্রুনাই, লাওস, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনাম। ভৌগলিক বিস্তৃতি ও জনসংখ্যার দিক থেকে এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় আন্তঃরাষ্ট্রীয় বাণিজ্য সংস্থা।
চলতি সপ্তাহে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে আরসিইপি কর্মকর্তারা বাংলাদেশসহ চার অর্থনীতির সদস্যপদ আবেদন নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া সূত্রগুলো রয়টার্সকে জানিয়েছে, আরসিইপির পক্ষ থেকে এ দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করতে তেমন কোনো আপত্তি নেই।
ইন্দোনেশিয়ার উপ বাণিজ্যমন্ত্রী দিয়াহ রোরো এসতি উইদিয়া পুত্রি বলেন, “আমরা আরসিইপি কর্মকর্তাদের জানিয়েছি—এ ব্যাপারে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। বরং আমরা চাই আরও সদস্য যুক্ত হোক।”
মালয়েশিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী টেংকু জাফরুল আজিজ জানিয়েছেন, আগামী অক্টোবরে আরসিইপির সম্মেলনে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
যদি বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্যপদ পায়, তবে এটি হবে বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক—যা বাণিজ্য সম্প্রসারণ, রপ্তানি বৃদ্ধি ও আঞ্চলিক অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ তৈরি করবে।
সূত্র : রয়টার্স