নিজস্ব প্রতিবেদক
যুক্তরাষ্ট্র অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে দেশটিতে প্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করেছে। দেশটির মতে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনই নয়, বরং বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকিস্বরূপ।
সোমবার ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক বার্তায় জানিয়েছে, সীমান্ত সুরক্ষার মাধ্যমে বাস্তুচ্যুতি, শোষণ এবং প্রাণহানির মতো ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি রোধে কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া, অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধের মাধ্যমে সকলের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করাই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।
মার্কিন অভিবাসন নীতির কড়াকড়ি বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে আরও জোরালো হয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন দেশের, বিশেষত বাংলাদেশের নাগরিকদের, যারা অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন, তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
গত কয়েক মাসে মেক্সিকো সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা অন্তত ১৮০ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া, ২ আগস্ট একটি সামরিক পরিবহন উড়োজাহাজ (সি-১৭) এর মাধ্যমে ৩৯ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়, যাদের মধ্যে একজন নারীও ছিলেন। ফেরত পাঠানোর সময় প্রত্যেকের হাতে হাতকড়া ও পায়ে শেকল পরানো ছিল বলে জানা গেছে।
ফেরত আসা ব্যক্তিদের ভাষ্য অনুযায়ী, তারা প্রায় ৬০ ঘণ্টার দীর্ঘ যাত্রায় অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করেছেন। তাদের সবসময় হাতকড়া ও শেকলে বাঁধা অবস্থায় থাকতে হয়েছে এবং খাবার হিসেবে কেবল রুটি ও পানি সরবরাহ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ অভিবাসন নীতিতে কঠোরতার ইঙ্গিত দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমকারীদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা, যা ভবিষ্যতে এই ধরনের কর্মকাণ্ড নিরুৎসাহিত করতে সহায়ক হবে।