অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৃহস্পতিবার সকালে সামাজিক মাধ্যমে এক বার্তায় বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতিতে দেশের প্রতিটি ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা দলের প্রধান দায়িত্ব। এজন্য বিএনপি গ্রাম থেকে শহর, তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সংগঠনকে আরও মজবুত করছে।
তারেক রহমান জানান, ইতিমধ্যে ৭ হাজারেরও বেশি দলের সদস্যের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অসদাচরণের দায়ে অনেককে পদচ্যুত বা বহিষ্কৃত করা হয়েছে। তিনি বলেন,
“শৃঙ্খলা কোনো দুর্বলতা নয়; বরং সেটিই আমাদের শক্তি। নিজেদের সদস্যদের দায়বদ্ধ করার মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করেছি যে বিএনপি সততার ব্যাপারে আন্তরিক এবং আমরা ক্ষমতাসীনদের কাছে যে মানদণ্ড দাবি করি, নিজেদেরও সেই মানদণ্ডে দাঁড়াই।”
তিনি আরও যোগ করেন, যুবসমাজকে আকৃষ্ট করতে ও জনগণের আস্থা পুনর্গঠন করতে দল সচেষ্ট। তিনি বলেন,
“তরুণরা রাজনীতিকে শুধু ক্ষমতার খেলা হিসেবে দেখে না; বরং চায় সবার অংশগ্রহণে গড়ে ওঠা একটি মহৎ ক্ষেত্র।”
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি সবসময় নিজেকে আধুনিকায়ন করে চলেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, তরুণদের কর্মসংস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন ও ডিজিটাল উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতিসহ ৩১ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নারী, যুবক ও পেশাজীবীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই দলের অগ্রাধিকার।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “বিএনপি প্রাধান্য দিচ্ছে শৃঙ্খলাবদ্ধ, ভবিষ্যৎমুখী ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে। তরুণরা চায় বাস্তব সুযোগ, জনগণ চায় স্থিতিশীলতা, আর বিশ্ব চায় বাংলাদেশ হোক বিশ্বাসযোগ্য ও সম্মানিত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।”
সবশেষে তিনি দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকি, জনগণের সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকি। তবেই গণতন্ত্রের পথ হবে উজ্জ্বল, এবং আমরা একসাথে একটি জবাবদিহিমূলক, স্থিতিশীল ও গণআকাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব, ইনশাআল্লাহ।”