নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুড়ি এলাকায় মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় আব্দুর রব (৭৩) নামে এক কবিরাজকে আটক করেছে র্যাব। তিনি নাঙ্গলকোট উপজেলার রায়কোট ইউনিয়নের শরীপুর গ্রামের বাসিন্দা।
র্যাবের মেজর সাদমান ইবনে আলম জানান, ঘটনাটি একেবারেই ক্লুলেস ছিল। নিহত তাহমিনা বেগমের সঙ্গে সর্বশেষ আব্দুর রবের যোগাযোগের সূত্র ধরে নাঙ্গলকোটে অভিযান চালিয়ে তাকে নিজ বাসা থেকে আটক করা হয়। পরে তাকে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গত রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে কালিয়াজুড়ি পিটিআই মাঠসংলগ্ন নেলী কটেজের দ্বিতীয় তলা থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন—তাহমিনা বেগম (৪৫), কুমিল্লা আদালতের সাবেক হিসাবরক্ষক নুরুল ইসলামের স্ত্রী এবং তার মেয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আরফিন (২৩)। তারা গত পাঁচ বছর ধরে ওই এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন।
ঘটনার পর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দুপুরে নগরীতে ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ সুপারের আশ্বাসে তারা কর্মসূচি স্থগিত করেন।
বাড়ির মালিক আনিসুল ইসলাম রানা জানান, প্রায় চার বছর আগে নুরুল ইসলাম বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। গত বছর তার মৃত্যু হলে স্ত্রী ও সন্তানরা সেখানে থাকছিলেন।
ঘটনার রাতে তাহমিনার দুই ছেলে ঢাকা থেকে বাসায় ফিরে দরজা খোলা পান। ভেতরে প্রবেশ করে তারা মা ও বোনকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। পরে ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিনুল ইসলাম জানান, মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর বিস্তারিত জানা যাবে।