শেষের শুরুটা এমনই হয় — আবেগে ভরা, আলোয় মোড়া, ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে। লিওনেল মেসি যখন আগামীকাল ভোরে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে মাঠে নামবেন, হয়তো সেটিই হবে আর্জেন্টিনার মাটিতে তার শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ।
এই ম্যাচ শুধুই আরেকটা খেলা নয়, এ এক যুগের অবসান, এক কিংবদন্তির বিদায়ঘণ্টা। তবে মেসি যেমন, বিদায় বললেও সেখানে থেমে থাকেন না। বরং শেষটাও রাঙিয়ে দিতে চান রেকর্ডের রঙে।
মাঠে নামলেই দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবেন তিনি।
মেসির ম্যাচ সংখ্যা এখন ৭১। আর একটা খেললেই স্পর্শ করবেন ইকুয়েডরের কিংবদন্তি ডিফেন্ডার ইভান উর্তাদোকে, যার ঝুলিতে আছে ৭২ ম্যাচ।
আর যদি ইকুয়েডর ও ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে দুটো ম্যাচেই খেলেন, তাহলে মেসিই হয়ে যাবেন দক্ষিণ আমেরিকার বাছাই ইতিহাসের একক সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা ফুটবলার।
তবে শুধু ম্যাচ নয়, গোলের দিকেও রাজত্ব করছেন তিনি। কনমেবলের বাছাইপর্বে সর্বোচ্চ ৩৪ গোল নিয়ে আছেন শীর্ষে। আর চলতি বাছাইপর্বেও আছেন রেসে — কলম্বিয়ার লুইস দিয়াসের ৭ গোলের থেকে এক ধাপ পেছনে, মেসির গোল ৬টি। সামনের ম্যাচেই হয়তো সেটাও পেরিয়ে যাবেন।
আসন্ন ম্যাচকে ঘিরে আবেগ লুকাননি মেসি নিজেও। বলেছেন,
“এটি আমার জন্য বিশেষ ম্যাচ। কারণ, এটি আর্জেন্টিনার মাটিতে আমার শেষ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ হতে পারে। আমার পরিবার, স্ত্রী, সন্তান, বাবা-মা — সবাই থাকবে গ্যালারিতে। এমন মুহূর্তে খেলা এক অন্যরকম অনুভূতি।”
শেষ ম্যাচ, শেষ আবেগ, আর হয়তো শেষ রেকর্ডও।
মেসির বিদায়টাও তাই তাঁর মতো করেই — অনন্য, ঐতিহাসিক।