নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তবে নির্বাচনকে বানচাল করার নানা ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নেতাদের মতে, সরকার ও নির্বাচন কমিশন যদি জিরো টলারেন্সে দৃঢ় অবস্থানে থাকে, তবে এসব ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই সফল হবে না।
অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনও নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করছে। শিগগিরই তফসিল ঘোষণা হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি কক্সবাজারে বলেছেন, “দেশ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, এই নির্বাচন শেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।”
তবে এ সময়ের মধ্যে কিছু রাজনৈতিক দল নানা শর্ত সামনে নিয়ে আসছে। জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অভিযোগ করেছে, সংস্কার ও ক্ষমতাচ্যুতদের বিচারের বিষয় পাশ কাটিয়ে সাজানো নির্বাচনের চেষ্টা চলছে। তারা জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি এবং পিআর পদ্ধতিতে ভোটের দাবি তুলেছে। এমনকি আন্দোলনের হুমকিও দিয়েছে।
অন্যদিকে বিএনপি বলছে, নতুন নতুন দাবি তুলে আসলে নির্বাচনকে ব্যাহত করার কৌশল চলছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “নির্বাচন বানচালের জন্য পরিকল্পিতভাবে দাবির পাহাড় তৈরি হচ্ছে। জনগণ এসব বিভ্রান্তিতে পড়বে না।”
বিএনপি, সিপিবি ও বাম জোটের নেতাদের মতে, যদি নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না হয়, তবে তৃতীয় শক্তির হস্তক্ষেপের সুযোগ তৈরি হতে পারে, যা দেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত নানা ষড়যন্ত্র আসতে পারে। কিন্তু সরকার ও নির্বাচন কমিশন যদি দৃঢ় ও শক্ত অবস্থানে থাকে, কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না।”
রাজনৈতিক দলগুলোর অভিমত—নির্বাচন সময়মতো হওয়া জরুরি। জনগণের আস্থা ধরে রাখতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের জিরো টলারেন্স নীতিই পারে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে।