কূটনৈতিক প্রতিবেদক :
দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক বিরতির পর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আগামী ২৩-২৪ আগস্ট ঢাকায় দ্বি-নিষেক সফর করবেন। এ সফরকে কেন্দ্র করে দু’দেশের মধ্যে ৬–৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য, কানেকটিভিটি, জঙ্গিবাদ দমন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও কৌশলগত গবেষণার বিষয়গুলো আলোচনায় থাকবে। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত অমীমাংসিত বিষয়গুলোতে। বাংলাদেশ এই প্রসঙ্গে অতীত ভুলে যাওয়ার অবস্থানে নেই এবং পাকিস্তানকে প্রতিক্রিয়া দেখাতে হবে।
দুদিনের সফরে ইসহাক দার বৈঠক করবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ড. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে। পাশাপাশি তিনি রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন, যার মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ রয়েছেন।
নিউইয়র্কে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ/ছবি: সংগৃহীত
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের কিছুটা শীতলতা এবং দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক টানাপোড়েন পাকিস্তানের জন্য কৌশলগত সুযোগ তৈরি করেছে। ইসলামাবাদ এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়, যাতে আঞ্চলিক ভারসাম্য রক্ষায় নিজেদের অবস্থান শক্ত হয়।
পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হিসেবে এই সফরকে ইতিহাসের দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।