নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিশ্ববাজারে দাম কমার ধাক্কা দেশের স্বর্ণের বাজারেও লেগেছিল। টানা তিন দফায় সোনার ভরিতে দাম কমে ১৫ হাজার ১৮৭ টাকা। তাতেই দুই লাখের নিচে নামে মূল্যবান ধাতুটি। অবশ্য একদিনের মাথায় দাম বেড়ে আবারও দুই লাখ ছাড়িয়েছে সোনার ভরি।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) গত মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে জানায়, স্বর্ণের দাম কমেছে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার টাকা। বুধবার সমন্বিত ওই দামেই সোনা বিক্রি হয়। বুধবার রাতে ৮ হাজার ৯০০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করে বাজুস।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে। বুধবার দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বলেছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে দুই লাখ দুই হাজার ৭০৯ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৯৩ হাজার ৫০৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৬৫ হাজার ৮৬২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৩৭ হাজার ৮৪৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজুসের তথ্যমতে, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১০ হাজার ৪৭৪ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৯৩ হাজার ৮০৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
নতুনভাবে দাম বাড়ার আগে টানা চার দফায় স্বর্ণের দাম কমেছিল ২৩ হাজার ৫৭৩ টাকা।