স্পোর্টস ডেস্ক :
শিয়া কাপে ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন ছিল হাতের নাগালেই। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে ‘অঘোষিত সেমিফাইনাল’ ম্যাচে মাত্র ১৩৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে ব্যর্থ হয়ে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। সেই হতাশার পর এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও যেন দেখা যাচ্ছে পুরনো সেই সমস্যার পুনরাবৃত্তি—ভঙ্গুর মিডল অর্ডার। এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ছিল মিডল অর্ডার। শুরুতে ব্যাকআপ ব্যাটার হিসেবে নেওয়া সাইফ হাসান ওপেনিংয়ে জায়গা পাকাপোক্ত করে ফেললেও, মিডল অর্ডারের জন্য নির্ভরযোগ্য বিকল্প ছিল না। জাকের আলী, শামীম পাটোয়ারী, নুরুল হাসান সোহান—কেউই নিয়মিত পারফর্ম করতে পারেননি। সব আশা ছিল তাওহীদ হৃদয়কে ঘিরে, কিন্তু সেও ধারাবাহিক হতে ব্যর্থ। ফলে টপ অর্ডার একবার ব্যর্থ হলেই, দলের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও সেই চিত্রই ফুটে ওঠে।
বাংলাদেশের প্রথম ছয় ব্যাটার মিলে করেন মাত্র ৬২ রান, কিন্তু শেষ পাঁচ ব্যাটার ৮০ রান যোগ করেন।
তবু ব্যাটিং অর্ডারে কোনো নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়নি—যা এশিয়া কাপে করা ভুলেরই পুনরাবৃত্তি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
দ্বিতীয় ম্যাচে পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে।
শামীম পাটোয়ারী জায়গা হারাতে পারেন, তার বদলে ফিরতে পারেন জাকের আলী অনিক।
বোলিং দিকেও ঘুরপাকের সম্ভাবনা আছে—শেখ মাহেদী ও শরিফুল ইসলাম ফিরতে পারেন দলে, বিশ্রাম পেতে পারেন মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ।
লিটন দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, সাইফ হাসান, তাওহীদ হৃদয়, নুরুল হাসান সোহান, জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, শেখ মাহেদী, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব ও নাসুম আহমেদ।
বাংলাদেশ কি এবারও মিডল অর্ডারের সেই দুর্বলতা কাটাতে পারবে, নাকি এশিয়া কাপে করা ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটবে—এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে আজকের ম্যাচেই।