October 29, 2025, 5:11 pm
Headline :
ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশমালা ‘প্রতারণামূলক’: মির্জা ফখরুল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে আপিলের চূড়ান্ত শুনানি ২ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি পোশাক নিয়ে কটুক্তি, জুতাপেটা করলেন তরুণী: ভাইরাল ভিডিও ‘অন্তর্বর্তী সরকার অন্য দলের সঙ্গে প্রতারণা করেছে’ — নুরুল হক নুর ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ওপর পুলিশের জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড, আহত অন্তত ৪৩ জন “সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে— খায়রুল আলম রফিক” জাতীয় নাগরিক পার্টি সরকারের প্রতি ৩ আহ্বান জানালো গাজা গণহত্যায় ৬০-এর বেশি দেশের জড়িত থাকার অভিযোগ, জাতিসংঘে বিস্ফোরক প্রতিবেদন এনসিপির সঙ্গে জোট গুঞ্জন খণ্ডন করল গণঅধিকার: রাশেদ খানের মন্তব্য হাসিনার প্লট দুর্নীতি মামলায় সাবেক রাজউক সদস্য খুরশীদের আত্মসমর্পণ

অর্থ পাচারে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর বিস্ময়কর কৌশল: ভুয়া প্রতিষ্ঠান, জাল ঋণ ও বিদেশে সম্পদ সাম্রাজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও ব্যাংক ঋণ জালিয়াতির ভয়াবহ অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সর্বশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, তিনি ভুয়া কোম্পানি ও নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা বিদেশে পাচার করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থ পাচারের গতিপথ গোপন রাখতে তিনি এমন কোনো অনৈতিক বা বেআইনি পদ্ধতি বাদ দেননি।

বিএফআইইউ জানিয়েছে, ভূমিমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর (২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত) জাবেদ ও তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যাংক লেনদেনে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়। এই সময়ে তিনি অস্তিত্বহীন ২৩১টি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেন। ঋণের বড় একটি অংশ তার মূল প্রতিষ্ঠান আরামিট গ্রুপের বিভিন্ন হিসাবে জমা করা হয়, আরেক অংশ বিভিন্ন ব্যক্তির নামে খোলা ব্যাংক হিসাব থেকে নগদ উত্তোলন করা হয়। বাকি অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়— প্রথমে দুবাইয়ের জেবা ট্রেডিং কোম্পানিতে, পরে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে জাবেদের মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোতে পাঠানো হয়। এছাড়া, ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে এলসির টাকা হংকং হয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।

অর্থ পাচারের প্রমাণ পাওয়ার পর সিআইডি গত ৫ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় মানি লন্ডারিং মামলা করে।
সিআইডির তদন্তে জানা যায়, জাবেদ দুবাইয়ে অন্তত ১,২০০ কোটি টাকা পাচার করেছেন।
এই অর্থে তিনি বার্শা সাউথ, থানিয়া, বুর্জ খলিফা, জাবাল আলী, মার্শা দুবাই, ওয়ার্ল্ড আইল্যান্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় ২২৬টি ফ্ল্যাট ক্রয় করেন। তার স্ত্রী রুকমিলা জামানের নামেও দুবাইয়ে দুটি সম্পত্তি থাকার তথ্য মিলেছে।

বিএফআইইউ জানায়, আব্দুল আজিজ নামে একজন কর্মচারীর মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে ইউসিবি ব্যাংকের ৮টি শাখায় ১২টি কোম্পানির হিসাব খোলা হয়। এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে— লুসেন্ট ট্রেডিং, আরামিট ফুটওয়্যার, ক্যাপিটাস অ্যাসেট, জেনেসিস ট্রেড ম্যানেজমেন্ট, ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং, পদ্মা ট্রেডিং, ভিশন ট্রেডিং ইত্যাদি। এগুলোর বেশিরভাগই নামসর্বস্ব ও কাগুজে প্রতিষ্ঠান, যেগুলো ব্যবহার করা হয়েছে পাচারকৃত অর্থের উৎস গোপন করতে।ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ পাচারের বিষয়ে জানতে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হয়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page