ধর্ম ডেস্ক:
ইসলামের প্রারম্ভিক দিনের একজন উজ্জ্বল চরিত্র ছিলেন হজরত সাওদা বিনতে জামআ (রা.), নবীজির (সা.) সাহচর্য ও পরিবারসেবার সঙ্গে সঙ্গে তার উদারতা, রসিকতা ও সাহসিকতার জন্যও ইতিহাসে অমর। খাদিজা (রা.)-এর ইন্তিকালের পরে তিনি নবীজির (সা.) সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
সাওদা (রা.) কেবল নবীজির সন্তানদের দেখাশোনার জন্যই বিবাহিত হননি; তিনি ছিলেন আনন্দপ্রিয়, সাহসী এবং হাস্যরসে ভরা নারী। মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসে তার অবদানও অপরিসীম।
সাহস ও ঈমানের প্রতীক
সাওদা (রা.) প্রাথমিক ইসলামের সময় ইসলাম গ্রহণ করেন। মক্কার কঠোর পরিস্থিতি, নির্যাতন ও মৃত্যুর আশঙ্কা সত্ত্বেও তিনি আল্লাহ ও নবীজির প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রাখেন। হাবশায় (আবিসিনিয়া) হিজরত করে মুসলমানদের নিরাপদ আশ্রয় দেন, এবং পরে পরিবারের সঙ্গে থাকার জন্য কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে মক্কায় ফিরে আসেন।
রসিকতা ও হাস্যরসের ধারা
নবীজির দুঃখের মুহূর্তগুলোতে তিনি মজার গল্প শোনাতেন। একবার দীর্ঘ রুকুতে থাকা নামাজে নাক থেকে রক্ত বের হওয়ার ভয়ে তিনি তা চেপে ধরেছিলেন—নবী (সা.) তখন হাসিতে ফেটে পড়েন। এমনকি দাজ্জালের গল্প শুনে ভয় পাওয়া মুহূর্তেও তিনি পরে হাসিমুখে বের হন।
উদারতা ও সহমর্মিতা
নবীজির (সা.) ইন্তিকালের পরও সাওদা (রা.) দানশীলতা প্রদর্শন করতেন। খলিফা ওমর (রা.) পাঠানো অর্থ তিনি গরিবদের দান করেন। হৃদয়েও ছিলেন উদার—নিজের প্রাপ্য দিন ও রাতও নবীজির প্রিয়তমা স্ত্রী আয়েশা (রা.)-কে দিয়ে দিতেন।
সাওদা বিনতে জামআ (রা.) আমাদের শেখান, হাস্যরস, সাহস ও উদারতার সঙ্গে ঈমানের দৃঢ়তা মেলাতে পারলেই জীবন হয়ে ওঠে অনুপ্রেরণার প্রতীক।
সূত্র: অ্যাবাউউ ইসলাম