নিজস্ব প্রতিবেদক,
মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের (এমডিএফ) ৫৬৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের হওয়া গুলশান থানার মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন এজাহারনামীয় ১২ আসামি।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে প্রতিজনকে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন দেন।
জামিন পাওয়া আসামিরা
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন—আইজিডব্লিউ অপারেটরস ফোরাম (আইওএফ) নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ মঈনুল হক, (অব.) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুল হান্নান, আশিক আহমেদ, গাজী মো. সালাহউদ্দিন, হাফিজুর রহমান, খালিদ ইসলাম, মো. মাহতাবুল আমিন, সোহেল শরীফ, তাজিন আলম, নাদির শাহ কোরেশী, মীর নাসির হোসেন ও সিসিও মুসফিক মনজুর।
এদিন তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলার পটভূমি
বিটিআরসির পক্ষে সংস্থার সিনিয়র সহকারী পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলাটি করেন।
অভিযোগে বলা হয়—আইজিডব্লিউ অপারেটরস ফোরাম (আইওএফ) গঠনের পর প্রতিষ্ঠানগুলো লাইসেন্স ও চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে।
নেটওয়ার্ক উন্নয়নের নামে আদায়কৃত মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (এমডিএফ)-এর টাকা আত্মসাতে জড়িত ছিলেন আইওএফ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা।
সালমান রহমানের নাম কেন এসেছে
মামলার এজাহারে বলা হয়, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আন্তর্জাতিক গেটওয়ে খাত (আইজিডব্লিউ) কুক্ষিগত করে আইওএফ নামে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন তৎকালীন উপদেষ্টা ও ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান।
তার নির্দেশনায় আইজিডব্লিউ অপারেটরদের প্রতি মাসে বিপুল অঙ্কের অর্থ তার মালিকানাধীন বেক্সিমকো কম্পিউটারস লিমিটেডে জমা দিতে হতো—যদিও প্রতিষ্ঠানটির আইজিডব্লিউ পরিচালনার কোনো লাইসেন্স ছিল না।
অভিযোগে আরও বলা হয়, এমডিএফ তহবিল থেকে আদায়কৃত অর্থের প্রকৃত ব্যবহার সম্পর্কে নিজস্ব অপারেটররাও অবগত ছিলেন না।
প্রেক্ষাপট ও পরবর্তী পদক্ষেপ
এই মামলায় সালমান এফ রহমানসহ মোট ২৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এখনও আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি বাকি আসামিরা। মামলার তদন্ত চলছে, এবং পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হবে তদন্ত অগ্রগতি অনুযায়ী।