বাসস:
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলায় চলতি অর্থ বছরের প্রথম ১১৭ দিনে ২৫৫টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে। এই প্রবৃদ্ধি বন্দরের রাজস্ব আয় ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডকে শক্তিশালী করেছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ (এমপিএ) জানিয়েছে, এসমস্ত জাহাজের মধ্যে ১৮টি জাহাজ ১০ হাজার ৬০৮টি টিইইউ কন্টেইনার বহন করেছে এবং ১০টি জাহাজ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৩ হাজার ২৫৩টি গাড়ি আমদানি করেছে।
এমপিএ উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ মাকরুজ্জামান জানান, ১ জুলাই থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত বন্দরে মোট ৪৭ লাখ টন পণ্য পরিচালনা করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
বর্তমানে বন্দরে সার, ক্লিংকার, এলপিজি, কয়লা ও পাথর বহনকারী ২২৭টি বিদেশি জাহাজ জেটি ও স্থায়ী নোঙ্গরস্থলে নোঙর করছে। এর মধ্যে হারবাড়িয়া, বেস ক্রিক, সুন্দরী কোটা ও মুরিং বোয়া উল্লেখযোগ্য।
মাকরুজ্জামান আরও বলেন, “মোংলা বন্দর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সহজতর করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বন্দরের মাধ্যমে আমদানি হচ্ছে খাদ্যশস্য, সিমেন্ট কাঁচামাল, সার, অটোমোবাইল, যন্ত্রপাতি, কয়লা, তেল, পাথর, ভুট্টা, তৈলবীজ ও এলপিজি। রপ্তানিতে রয়েছে মাছ, চিংড়ি, পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কাঁকড়া, মাটির টাইলস, রেশম কাপড় এবং অন্যান্য সাধারণ পণ্য।”
তিনি উল্লেখ করেন, রিকন্ডিশনড গাড়ি আমদানি ক্রমবর্ধমান হচ্ছে, কারণ আমদানিকারকরা এই সুযোগ ব্যবহারে আগ্রহী। এছাড়া, বন্দরের ধারণক্ষমতার ৪০ শতাংশ এখনও খালি রয়েছে এবং এই বছর বন্দর ব্যবহারে কোনো কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।