নিউজ ডেস্ক:
জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলাসহ ৫টি মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে হাইকোর্ট রুল জারি করেছে। আদালত সরকারকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি সগীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলটি জারি করেন।
খায়রুল হকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন শুনানি করেন।
এর আগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক এই ৫টি মামলায় হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন। মামলাগুলোর মধ্যে একটি রয়েছে দুদকের দায়ের করা মিথ্যা হলফনামা সংক্রান্ত।
গত ২৪ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে পুলিশ খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে যাত্রাবাড়ীতে নিহত যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এছাড়া নারায়ণগঞ্জের একটি মামলায় বেআইনি রায় দেওয়ার ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই মামলার বাদী ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী ভূঁইয়া। এরপর আরও কয়েকটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গত ১১ আগস্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে সাবেক প্রধান বিচারপতির জামিন ও মামলা বাতিলের আবেদন শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষ ও আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল এবং ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।