নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের মিছিল ও সমাবেশ নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, সাম্প্রতিক সময় কিছুটা বেড়েছে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচির সংখ্যা, তবে অধিকাংশই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছোট ভিডিওর মাধ্যমে বেশি প্রচার পায়। তিনি বলেন, ‘অনেকে রাতের কোচে এসে অল্প সময়ের জন্য ব্যানার দেখিয়ে ফেসবুকে ভিডিও দেয়, যা দেখে মনে হয় বড় কোনো মিছিল হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে তা তেমন বড় নয়।’ ৩০ সেকেন্ডের ভিডিও বানানোর জন্যই আওয়ামী লীগ মিছিল করে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ডিএমপি ও জাইকার যৌথ আয়োজনে ‘রোড সেফটি সেমিনার’ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব আমরা অস্বীকার করতে পারি না, তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তিনি জানান, গত ১৭ বছরে বড় ধরনের কোনো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়নি, যার কারণে বর্তমানে কর্মরত প্রায় দুই লাখ পুলিশ সদস্যের অর্ধেকই এর মধ্যেই নিয়োগপ্রাপ্ত, যাদের অনেকের কাছে নির্বাচনের বাস্তব অভিজ্ঞতা নেই।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে পুলিশ সদস্যদের জন্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে সাজ্জাত আলী বলেন, ‘আমরা নির্বাচনকে সামনে রেখে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং সবসময় অফিসারদের বলছি, ১০০ শতাংশ নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন এবারের নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য, তবে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা দলটি এবার অংশ নিতে না পারায় পরিস্থিতি কিছুটা জটিল হতে পারে। তিনি বলেন, ‘একটি নিষিদ্ধ দল ককটেল বিস্ফোরণ ও নাশকতার চেষ্টা করছে, কিন্তু আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছি যাতে কোনো রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম সংঘটিত না হয়।’
নভেম্বরের শেষ দিকে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচন সামনে; জনগণ ভোট দিতে আগ্রহী, যদিও অনেকেই আজও জীবনে ভোট দেননি, যা আমাদের জন্য দুঃখজনক।’
শেষে নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে সব পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য।’