নিজস্ব প্রতিবেদক :
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে আপিল শুনানির দ্বিতীয় দিন চলছে। বুধবার সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়। আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করছেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করবেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
আপিলের পটভূমি :
এর আগে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আপিলের প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি চলমান এই আপিল মামলাগুলো মূলত সুপ্রিম কোর্টের ২০১১ সালের রায়ের পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) ঘিরে গঠিত। ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছিল, যার ফলে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়। এই রায়ের পর একই বছরের ৩০ জুন সংসদে পাস হয় পঞ্চদশ সংশোধনী আইন এবং ৩ জুলাই গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
কারা আবেদন করেছেন?
২০১১ সালের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন নাগরিক সংগঠন ‘সুজন’-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক। অন্য চারজন হলেন—তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান। এছাড়াও পৃথকভাবে আপিল করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (১৬ অক্টোবর, ২০২৪) এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার (২৩ অক্টোবর, ২০২3)। এছাড়া নওগাঁর রানীনগরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেছেন।
আপিলের গুরুত্ব :
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এই আপিলের শুনানি রাজনৈতিক ও সাংবিধানিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। রায় পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে আসবে কি না—এমন প্রশ্ন ঘিরেই দেশজুড়ে চলছে আলোচনা।