নিজস্ব প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম, নির্যাতন এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে ঢাকার সেনানিবাসের সাবজেলে স্থানান্তর করা হয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে পরবর্তী ব্যবস্থা হিসেবে তাদের সেনানিবাসে স্থাপিত কারা অধিদপ্তরের একটি বিশেষ সাবজেলে স্থানান্তর করা হয়। কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন জানান, আসামিদের ঢাকার বাশার রোডসংলগ্ন ‘এম ই এস বিল্ডিং নম্বর-৫৪’তে রাখা হয়েছে, যা সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
সকাল ৭টার পর এয়ারকন্ডিশনড প্রিজন ভ্যানে করে ১৫ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়। এর আগে, গত ১২ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, নির্দিষ্ট ওই ভবনটিকে অস্থায়ী কারাগার হিসেবে ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি ১৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ পায়।
১১ অক্টোবর সেনাবাহিনীর এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছিল, অভিযুক্তদের মধ্যে একজন কর্মকর্তা অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর) আছেন এবং সবাইকে সেনা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
১. মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন
২. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম
৩. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার
৪. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান
৫. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম
৬. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী
৭. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী
৮. ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ
৯. কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন
১০. কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এলপিআর)
১১. লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান
১২. লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন
১৩. লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম
১৪. লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম
১৫. মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম