নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে সব ধর্ম, মত ও সম্প্রদায়ের মানুষকে সঙ্গে নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে চায় বিএনপি—এমন মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ৫০ জন নেতা-কর্মীর দলটিতে যোগদানের সময় তিনি এ কথা বলেন। যোগদানকারীদের নেতৃত্বে ছিলেন সোমনাথ দে, কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল ও সমেন সাহা।
“বিভাজনে নয়, আমরা ঐক্যে বিশ্বাস করি”
বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা কোনো বিভাজনে বিশ্বাসী নই। সব ধর্ম, মত ও সম্প্রদায়ের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়াই বিএনপির রাজনৈতিক দর্শন।” তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, বেগম খালেদা জিয়া ২০১৬ সালেই ‘রেইনবো স্টেট’-এর ধারণা তুলে ধরেছিলেন, যেখানে সব মানুষের অধিকার নিশ্চিত হবে, থাকবে সমান মর্যাদা ও অংশগ্রহণ।
“দেশে বিভাজনের রাজনীতি চলছে” বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, সরকার দেশের রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙে দিয়েছে, সমাজে বিভাজন ও ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করেছে। তিনি বলেন: “মানুষ প্রতিহিংসার রাজনীতি চায় না, মানুষ চায় ঐক্যের রাজনীতি। কিন্তু বিভিন্ন গোষ্ঠী ও বিদেশি শক্তি মিডিয়ার মাধ্যমে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।” “২০২৪ নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে” মির্জা ফখরুল বলেন, “১৯৭১ সালে যেভাবে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, ঠিক তেমনই ২০২৪ সালে নতুনভাবে বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ এসেছে। আমরা চাই সবাই মিলে, সব সম্প্রদায় একসঙ্গে থেকে সবার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে।” সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার অঙ্গীকার সাম্প্রতিক নানা হামলা ও ভয়ভীতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বিএনপি অতীতেও তাদের পাশে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।”