নিজস্ব প্রতিবেদক:
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের রাজনীতিতে ঐক্যের অভাব লক্ষ্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “বড় একটি গণঅভ্যুত্থানের সুযোগ সত্ত্বেও রাজনীতিবিদরা একত্রিত হতে পারছে না, বরং বিচ্ছিন্নতার শিকার হচ্ছে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের দেশের ভবিষ্যত গড়ার এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে হবে। কিন্তু চারদিকে অনৈক্যের সুর গুণগুণ করছে, যা হতাশাজনক।”
তিনি আরও বলেন, কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা উদ্ধৃত করে তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তোমাদের সামনে নতুন পৃথিবী দরজা খুলে দিয়েছে। এখন সময় নিজেকে প্রস্তুত করে বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামার।”
উক্ত অনুষ্ঠানে শিক্ষাবর্ষের জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা জানানো হয়। মির্জা ফখরুল শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন।
তিনি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই নিম্নমানের, যার দায় রাজনীতিবিদ, আমলাতন্ত্র ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিতে হবে। শুধু বিএ বা এমএ পাস করলেই চাকরি পাওয়া যায় না; ভোকেশনাল ও কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব বাড়ানো প্রয়োজন।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “শিক্ষকদের বেতনসহ নানা দাবিতে আন্দোলন হচ্ছে, যা প্রশংসনীয়। তবে আমাদের উচিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করে মেধাবীদের জন্য উচ্চশিক্ষা এবং বাকি শিক্ষার্থীদের জন্য কারিগরি ও ভোকেশনাল প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।”
তিনি কর্মসংস্থানের জন্য কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিতে বলেন, “যখন আমাদের দেশে কারিগরি শিক্ষার অবস্থা এত খারাপ, তখন তরুণ প্রজন্ম কীভাবে উন্নত হবে?”
অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হীরা সভাপতিত্ব করেন। বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোবারক হোসেন সঞ্চালনা করেন। বক্তৃতা করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান মো. সবুর খান, বিএনপির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমার প্রধান সম্পাদক হারুন অর রশিদ, শিক্ষাবিদ এম এ সাজ্জাদ, জমিরুল আকতার, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের আহ্বায়ক কবীর হোসেন ও অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা।