 
						
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে বাজারে ছড়ানো বিভ্রান্তির জবাবে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি জানিয়েছেন— সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি, এবং এ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি ছড়ানো ঠিক নয়।
মঙ্গলবার রাজধানীর পূর্বাচলে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
“বিনা অনুমতিতে দাম বাড়ানো যাবে না” শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “সরকারি অনুমোদন ছাড়া কেউ দাম বাড়ানোর অধিকার রাখে না। যদি কেউ স্বেচ্ছায় মূল্য বৃদ্ধি করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি আরও জানান, ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় বাজার পরিস্থিতির ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ব্যবসায়ীদের ঘোষণা, কিন্তু সরকারি অনুমোদন নেই এর আগে, সোমবার ভোজ্যতেল আমদানিকারক ও পরিশোধনকারী ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরবিএমএ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা ১৪ অক্টোবর থেকে কার্যকর।
ঘোষণাটি এমন:
বোতলজাত সয়াবিন তেল: প্রতি লিটার ৬ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৯৫ টাকা
খোলা সয়াবিন তেল: ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৭৭ টাকাপাঁচ লিটারের বোতল: ২৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৪৫ টাকা
খোলা পাম তেল: ১৩ টাকা বাড়িয়ে ১৬৩ টাকা
এই ঘোষণার পর বাজারে ক্রেতা-ভোক্তাদের মধ্যে দেখা দেয় দাম বাড়িয়েছে সরকার কিনা— এমন বিভ্রান্তি। সরকারের অবস্থান পরিস্কার বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের বক্তব্যে পরিষ্কার, সরকার এই মূল্যবৃদ্ধি অনুমোদন করেনি। আর তাই মন্ত্রণালয়ের বাইরে গিয়ে মূল্য নির্ধারণ হলে, সেই উদ্যোগ আইনগতভাবে বৈধ নয়।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা খতিয়ে দেখছি বিষয়টি। কেউ যেন সুযোগ নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা করতে না পারে, সে জন্য নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।”
সামাজিক প্রতিক্রিয়া ও সতর্কতা বাজারে হঠাৎ করে দাম বাড়ার খবরে অনেক ভোক্তা বিপাকে পড়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকে ব্যবসায়ীদের একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে, বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূল্য নির্ধারণে স্বচ্ছতা ও যথাযথ সরকারি অনুমোদনের প্রয়োজনীয়তা এখন আরও বেশি। বিশেষ করে যখন দ্রব্যমূল্যের চাপে সাধারণ মানুষ দিশেহারা।
সরকারি অনুমোদন ছাড়া পণ্যের দাম বাড়ানোর চেষ্টা বাজারের স্বাভাবিক ভারসাম্যকে নষ্ট করতে পারে। বাণিজ্য উপদেষ্টার এই হস্তক্ষেপ সেই স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা — যেখানে ভোক্তার স্বার্থই হবে প্রধান বিবেচ্য।