স্টাফ রিপোর্টার :
জুলাই মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আজ (সোমবার) শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার-এর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সকাল থেকে শুনানি শুরু হয়।
মামলার আগের দিনের শুনানিতে দালিলিক প্রমাণ, ঘটনাস্থলের বিবরণ, গণহত্যার পরিসর, এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সম্পৃক্ততা তুলে ধরা হয়।
প্রসিকিউশন দাবি করে, “জুলাইয়ের ঘটনাগুলো ছিল রাজনৈতিকভাবে প্রণোদিত এবং পূর্বপরিকল্পিত। বিরোধীদের দমন ও জনগণকে শোষণের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ যে দমননীতি চালিয়েছে, তা উপনিবেশ আমলের লুটপাটকেও হার মানায়।”
রোববারের শুনানিতে একটি নতুন অডিও রেকর্ডিং উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটররা। তাদের দাবি, এতে শেখ হাসিনা আন্দোলন দমন করতে গুলির নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে আসামিপক্ষের কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এই মামলায় এ পর্যন্ত ৫৪ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। প্রসিকিউশনের বক্তব্য অনুযায়ী, প্রত্যেকেই শেখ হাসিনাসহ তিনজন আসামির সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
জাসদ সভাপতি ইনুর বিরুদ্ধে আজ পৃথক মামলায় হাজিরা এদিকে, জুলাই–আগস্টের আরেক মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায়, আজ জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হচ্ছে।
তাঁর বিরুদ্ধে দাখিল করা আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যাসহ তিনটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে ইনুর বিরুদ্ধে। দুই মামলাই দেশের রাজনীতিতে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে রাষ্ট্রের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের বিচারের মুখোমুখি হওয়া আন্তর্জাতিক মহলেরও নজরে এসেছে।
ট্রাইব্যুনালের পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী সপ্তাহে নির্ধারিত হওয়ার কথা রয়েছে।
তথ্যসূত্র: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, প্রসিকিউশন দপ্তর