নিজস্ব প্রতিবেদক :
অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা প্রশাসনে দলীয় অনুগতদের বসিয়ে “নির্ধারিত ফলের নির্বাচন” আয়োজনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি দাবি করেন, এসব ষড়যন্ত্রের নাম, কণ্ঠ রেকর্ড ও সভার বিস্তারিত তথ্য জামায়াতের হাতে রয়েছে। ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত ও হুঁশিয়ারি মঙ্গলবার রাজধানীর মৎস্য ভবন মোড়ে এক মানববন্ধনে দেওয়া বক্তব্যে তাহের বলেন— “আমরা জানি কোন উপদেষ্টা কাদের সঙ্গে কী কথা বলেছেন। তাদের কণ্ঠ রেকর্ড আমাদের হাতে আছে। এখনও সময় আছে, সংশোধন হন। না হলে এসব তথ্য জনসমক্ষে তুলে ধরা হবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, কিছু উপদেষ্টা প্রশাসন ও পুলিশে এমন ব্যক্তিদের বসাচ্ছেন, যারা একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রতি আনুগত্যশীল। “এইভাবে যে ‘নীলনকশার নির্বাচন’ করতে চাচ্ছেন, তা চলতে দেওয়া হবে না।” সচিব নিয়োগ নিয়ে ক্ষোভ সম্প্রতি জনপ্রশাসনে এক সচিব নিয়োগ নিয়ে জামায়াত নেতা বলেন, “আমাদের সঙ্গে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, দলীয় বা দুর্নীতিগ্রস্ত কাউকে দায়িত্বে বসানো হবে না। অথচ দেখা গেল, কথার একদিন পরই এমন একজনকে বসানো হলো, যার দুর্নীতির ইতিহাস দীর্ঘ এবং সে দলীয়ভাবে একপেশে।”
পুলিশ নিয়োগেও চাপের অভিযোগ সৈয়দ তাহের আরও দাবি করেন, “আমি পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। সেখানেও একই চিত্র—একটি দলের লোকদের নিয়োগ দিতে প্রচণ্ড চাপ দেওয়া হচ্ছে।” তিনি বলেন, এই পন্থায় যে নির্বাচনী প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, তাতে ২০১৮ বা ২০২৪ সালের মতো আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে জনগণের অংশগ্রহণ থাকবে না। নিরপেক্ষতা বজায় রাখার আহ্বান অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জামায়াত নেতা বলেন, “প্রশাসনে নিরপেক্ষ ও সৎ ব্যক্তিদের পদায়ন করুন। দলীয়করণ বন্ধ করুন। জনগণের আস্থা ফেরাতে হলে এই রাস্তায়ই যেতে হবে।”
সমাবেশে উপস্থিত নেতারা :
মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জামায়াত ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। আরও বক্তব্য দেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাসুম, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, আবদুল হালিমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।