নিজস্ব প্রতিবেদক :
টঙ্গির পুরোনো এক হিংসাত্মক ঘটনার বর্ণনা নিয়ে আবারও আলোচনায় এসেছে নাম জানা এক ব্যক্তি—এ বিষয়ে তথ্য তুলে ধরলেন চিফ প্রসিকিউটর। তিনি সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের রাজনৈতিক উপন্যাস দেয়াল থেকে কিছু অংশ ট্রাইব্যুনালে পাঠ করেন, যেখানে টঙ্গির ঘটনায় 당시 স্থানীয় নেতা মোজ্জাম্মেলের সম্ভাব্য জড়িত থাকার আলামত হিসেবে চিত্রায়ন আছে। চিফ প্রসিকিউটর জানিয়েছেন, উপন্যাসে একটি কেসের বর্ণনা আছে—এক নবদম্পতির ওপর আক্রমণ, গাড়ি আটকানো, ওই ঘটনায় নববধূর মৃত্যু এবং আঘাতমূলক ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে এ অংশ উপস্থাপন করে প্রসিকিউশন আগের অভিযোগগুলো স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন এবং সেই ঘটনার প্রসঙ্গটি পুনরায় কার্যত প্রমাণ সূত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তবে আদালতে উপস্থাপিত এই বর্ণনাকে প্রসিকিউটর ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করলেও, উপন্যাসটি কথ্য ও সাহিত্যকেন্দ্রিক রচনা—অর্থাৎ এটি স্বতন্ত্র একটি কল্পনামূলক বা রাজনৈতিক আখ্যান হিসেবে লেখা হয়েছে। ফলে উপন্যাসের বর্ণনা সরাসরি ঘটনার আইনগত প্রমাণ হিসেবে ধরা হবে কি না, তা নির্ণয়ের দায়িত্ব আদালতেরই।
বৈধ সূত্রে জানা গেছে, উপন্যাসের উক্ত অংশে মেজর নাসের ও মোজ্জাম্মেলের কথোপকথন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিক্রিয়া এবং ঘটনাস্থলের বর্ণনা রয়েছে। চিফ প্রসিকিউটরের দাবি—সাহিত্যিক উপাখ্যানের এই বর্ণনা মামলার প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে সহায়ক। অন্যদিকে প্রতিরক্ষা পক্ষ যদি এ বিবরণকে আনুষ্ঠানিক প্রমাণ হিসেবে অস্বীকার করে, তাও আদালত বিবেচনা করবেন। ট_IPV: ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপনকৃত উপন্যাসের পৃষ্ঠাগুলো প্রসিকিউটরের হাতে দাঁড় করানোর পর মামলার পরবর্তী শুনানি ও প্রমাণ উপস্থাপনের ধারা কি হবে—সেটি আগামী আদেশে পরিষ্কার হবে।
প্রসঙ্গ:
হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস দেওয়াল-এ স্থানীয় রাজনৈতিক ইতিবৃত্ত ও ঘটনাবলি আঁকাহচিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে—যেখানে বাস্তব ও কল্পনার সীমানা কখনো সূক্ষ্মভাবে ছুঁয়ে যেতে পারে। বর্তমানে এসব সাহিত্যিক বর্ণনা আদালতে উপস্থাপিত হওয়ায় আলোচনার কক্ষ আরও সর্তক ও সংবেদনশীল হয়ে উঠেছে।