গাজীপুর প্রতিনিধি :
এনসিপি (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি) নেতাদের ‘শাপলা প্রতীক’ নিয়ে মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, “আপনারা যদি শাপলা না পান, তাহলে ধানের শীষও দেওয়া হবে না—এই ধরনের অযাচিত বিতর্ক তুলে সময় নষ্ট করবেন না। এতে আমাদের মধ্যে যে ঐক্যের স্পিরিট তৈরি হয়েছে, তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”
শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে গাজীপুর জেলা শহরের রাজবাড়ী মাঠে বিএনপির ২০২৫ সালের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও ফরম বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
“ধানের শীষ বিএনপির ইতিহাস, এটা নিয়ে টানাটানি কেন?”
রিজভী বলেন, “আপনারা শাপলা প্রতীক চান, সেটা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে পারেন। এটা জাতীয় প্রতীক, জাতীয় ফুল। রাষ্ট্রপতি বা জাতীয় অনুষ্ঠানে যার মর্যাদা রয়েছে। কিন্তু ধানের শীষ কেন টানছেন?”
তিনি আরও বলেন, “ধানের শীষ ৪৭ বছরের পরিচিত প্রতীক, এর ঐতিহাসিক পেছনেও রয়েছে মওলানা ভাসানীর রাজনীতি। বিএনপি গঠনের পর থেকেই এটি বিএনপির প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এটা যেন ছোট ভাইয়ের জেদ—‘আমাকে যদি চকলেট না দেওয়া হয়, তাহলে বড় ভাইকেও দিও না।’ এই যুক্তি কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। ধানের শীষ তো আপনাদের রাজনীতিরও আগের প্রতীক, সেটাকে এখন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন কেন?”
সরকারের বিরুদ্ধে ‘গভীর ষড়যন্ত্র’-এর অভিযোগ স্বৈরাচারী শাসনের অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও কড়া ভাষায় কথা বলেন রিজভী। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রের ভেতরে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। সুড়ঙ্গ খোঁড়া হচ্ছে, যেন যিনি পার্শ্ববর্তী দেশে গেছেন, তাকে ফিরিয়ে আনা যায়।”
তিনি আরও বলেন, “৩২ নম্বর বাড়ি থেকে শুরু করে এখন সারা দেশে শেখ হাসিনা ও তার আত্মীয়স্বজনদের সম্পত্তি ছড়িয়ে আছে। পূর্বাচলে ৬০ কাঠা জমি পুতুলের নামে। বাংলাদেশটা যেন একচ্ছত্র সম্পত্তি হয়ে গেছে তাদের।”
“অপরাধী নয়, জনগণের প্রতিনিধিরাই হবেন বিএনপির সদস্য” বিএনপির সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম প্রসঙ্গে রিজভী স্পষ্ট করে বলেন, “যারা সমাজে ভীতি ছড়ায়, দুর্নীতিবাজ, বা যাদের সাধারণ মানুষ আতঙ্ক মনে করে—তারা বিএনপির সদস্য হতে পারবে না। আমরা চাই শ্রমিক, কৃষক, শিক্ষক, চাকরিজীবী—যারা রাজনীতি করার অধিকার রাখে, তারা সবাই বিএনপিতে যুক্ত হোক। আমাদের নীতিমালায় অপরাধীদের জন্য কোনো জায়গা নেই।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার। সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল করিম রনি। আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মাজহারুল আলম, মাহবুবুল ইসলাম, যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি জাকির হোসেন নান্নু, ডা. জাহিদুল কবির এবং তৌহিদুর রহমান আওয়াল।
এই পুনর্লিখিত সংস্করণটি সংবাদধর্মী ও পাঠযোগ্য শৈলীতে গঠন করা হয়েছে। আপনি চাইলে এটিকে আরও সংক্ষিপ্ত, মতামতভিত্তিক বা ভাষাদর্শ পরিবর্তিত করে নিতে পারেন—যেমন কাঠামোগত প্রতিবেদন, টিভি স্ক্রিপ্ট বা ব্লগ শৈলীতে। জানাতে পারেন কীভাবে চাইছেন।