নিজস্ব প্রতিবেদক :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল–আশুগঞ্জ) আসনে বিএনপির টিকিটে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন হেফাজত নেতা ও আলেম সমাজের পরিচিত মুখ মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব। বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার আসনেই তাকে প্রার্থী করার বিষয়টি এখন জোরালোভাবে আলোচনায় রয়েছে।
জুনায়েদ আল হাবীব জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি এবং হেফাজতে ইসলাম এর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। স্থানীয়ভাবে একজন জনপ্রিয় আলেম ও ধর্মীয় বক্তা হিসেবে সরাইল–আশুগঞ্জ এলাকায় রয়েছে তার সুপরিচিত অবস্থান। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি এলাকায় প্রচারণা ও গণসংযোগ চালিয়ে আসছেন।
বিশ্বস্ত সূত্রের দাবি, বিএনপির উচ্চপর্যায় থেকে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। তবে তার প্রার্থিতা নির্ভর করছে জমিয়তের বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে পুনঃপ্রবেশের সিদ্ধান্তের ওপর।
২০২০ সালে বিএনপির সমালোচনা করে ২০ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল জমিয়ত। তবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে পুরোনো সম্পর্ক জোড়া লাগাতে চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে লিয়াজো কমিটির একাধিক বৈঠক হয়েছে।
সম্প্রতি গণসংযোগে মাওলানা হাবীব বলেন,
“১৯৮১ সাল থেকে রাজনীতির মাঠে আছি। মুফতি আমিনীর নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবেও কাজ করেছি। সরাইল–আশুগঞ্জের প্রতিটি জনপদ আমার পরিচিত। ইনশাআল্লাহ, জনগণ যদি চায়, আমি তাদের সেবায় থাকতে প্রস্তুত।”
তবে এই আসনে ধানের শীষের প্রতীক পেতে আগ্রহী আরও নয়জন নেতার নাম ঘুরছে আলোচনায়। এদের মধ্যে রয়েছেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য শেখ মো. শামীম, তরুণ দে, আহসান উদ্দিন খান শিপন, ডা. নাজমুল হুদা বিপ্লব, শাহজাহান সিরাজ, আনিসুল ইসলাম ঠাকুর ও এডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু।
এদিকে আসন সীমানা পুনর্নির্ধারণ এবং একাধিক প্রার্থীর আগ্রহে এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে বিভক্তি ও মনোনয়ন সংশ্লিষ্ট জটিলতা।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আলেম–ওলামা অধ্যুষিত এই আসনে ধর্মীয় ভাবধারার প্রার্থী নির্বাচন করে বিএনপি ইসলামি ভোটব্যাংকে ইতিবাচক বার্তা দিতে পারে। এমনকি ২০০১ সালের নির্বাচনে এই আসন থেকেই ধানের শীষে নির্বাচিত হয়েছিলেন ইসলামি ঐক্যজোট নেতা মুফতি ফজলুল হক আমিনী।
স্থানীয়দের মতে, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীবকে প্রার্থী করা হলে তা বিএনপি ও জোটের মধ্যে পারস্পরিক আপস ও ঐক্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।