October 28, 2025, 3:37 am
Headline :

ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে নাম আসা সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৫ জন হেফাজতে

ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে নাম আসা সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৫ জন হেফাজতে

জেডটিভি বাংলা ডেস্ক

‘গুম ও মানবতাবিরোধী অপরাধে’ জড়িত থাকার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে নাম আসা সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৫ জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাসদর।

শনিবার (১১ অক্টোবর) ঢাকা সেনানিবাসের মেসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “চার্জশিটভুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৫ জন বর্তমানে সেনা হেফাজতে রয়েছেন। মোট ১৬ জনকে সেনাসদরে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছিল; তাদের মধ্যে ১৫ জন উপস্থিত হয়েছেন।”

অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের তালিকা

গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, কর্নেল কে এম আজাদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।

নিখোঁজ কবীর আহাম্মদ

সিটিআইবি ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ সম্পর্কে মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান বলেন, “তিনি ৯ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন।”

৩ মামলায় ২৫ সেনা কর্মকর্তা অভিযুক্ত

সেনাসদরের তথ্য অনুযায়ী, তিনটি মামলায় মোট ২৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৯ জন অবসরপ্রাপ্ত, ১ জন এলপিআরে এবং ১৫ জন কর্মরত। চার্জশিট দাখিলের পর ৮ অক্টোবর থেকে তাদের সেনাসদরে সংযুক্ত করা হয় এবং ৯ অক্টোবরের মধ্যে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ট্রাইব্যুনালের পদক্ষেপ

গত বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দুটি মামলায় মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

প্রথম মামলায় র‌্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে আটক ব্যক্তিদের নির্যাতনের অভিযোগে ১৭ জনকে এবং দ্বিতীয় মামলায় জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) নির্যাতনের ঘটনায় ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এই দুই মামলার প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আরও রয়েছেন তার প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকী এবং ডিজিএফআই-এর সাবেক পাঁচ মহাপরিচালক।

উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বর্তমান ও সাবেক মোট ২৪ জন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ৮ অক্টোবর দেওয়া এই নির্দেশনায় আগামী ২১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করে ২২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page