নিজস্ব প্রতিবেদক :
কারাগারে থেকেও মনোবল হারাননি সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বরং মানিয়ে নিয়েছেন পরিস্থিতির সঙ্গে এবং আগাম নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগ্রহও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (৮ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি মাথা নাড়িয়ে জানান, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চান।
তিনি বলেন, “আগে মন খারাপ হতো, এখন আর হয় না। নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি। মানসিকভাবে শক্ত আছি।”
গত বছরের ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় বনানীতে গুলিতে নিহত হন মো. শাহজাহান নামে এক ব্যক্তি। ওই ঘটনার মামলায় পলকের সঙ্গে আরও গ্রেফতার দেখানো হয়েছে—ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, ঢাকার সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীকে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার এসআই মো. ইয়াছির আরাফাত আদালতকে জানান, নিহত শাহজাহান শান্তিপূর্ণ মিছিলে অংশ নিচ্ছিলেন। তখন সরকারি দলের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। শাহজাহান বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ হন এবং পরে মারা যান।
মামলায় বলা হয়, ওই দিন ১২০ জন আন্দোলনকারী নিহত হন, যাদের হত্যার নির্দেশ আসামিদের পক্ষ থেকেই এসেছে বলে অভিযোগ।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে আনা হয় চারজনকে। কড়া নিরাপত্তায়, মাথায় হেলমেট ও বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে তারা আদালতের এজলাসে হাজির হন।
পরে কাঠগড়ায় অবস্থানকালে আইনজীবীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন আসামিরা। পলক তার আইনজীবীকে বলেন, “আমি ভালো আছি। পরিবারকে জানাবেন, আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত।”
তার আইনজীবী জানান, পলক অভিযোগ করেছেন যে, জেলখানায় যেসব সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য, তার অনেকটাই তিনি পাচ্ছেন না। পাশাপাশি তিনি একজন আওয়ামী লীগ নেতার কারাবন্দি অবস্থায় মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
গত বছরের ১৯ জুলাই রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচে এক শান্তিপূর্ণ মিছিলে অংশ নেওয়ার সময় গুলিতে আহত হন শ্রমিক মো. শাহজাহান। ঢাকা মেডিকেলে চার দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি মারা যান। এরপর তার মা সাজেদা বেগম গত ১৮ ডিসেম্বর বনানী থানায় মামলা করেন। এতে ৯৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।