নিজস্ব প্রতিবেদক:
চলতি অর্থবছরের বাজেটে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও ভর্তুকি বাবদ ব্যয় বাড়ায় ডিসেম্বরেই সংশোধিত বাজেট আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সাধারণত মার্চে বাজেট সংশোধন হয়, তবে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় এবার আগেভাগেই তা করা হচ্ছে।
সরকারি, আধা সরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মীদের জন্য বেতন-ভাতা খাতে চলতি বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ৮৪ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা। কিন্তু নতুন ভাতা, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সুবিধা ও পদোন্নতির কারণে ব্যয় আরও বেড়ে যাচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাড়তি বরাদ্দের সুনির্দিষ্ট হিসাব এখনও নির্ধারিত হয়নি।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিদ্যুৎ খাতের ৬২ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে, অন্যান্য বকেয়া পরিশোধও চলছে। এর সঙ্গে বাড়তি আর্থিক সুবিধা যুক্ত হওয়ায় বাজেট ব্যবস্থাপনা কঠিন হয়ে পড়েছে। তার মতে, নতুন বেতন কাঠামোর প্রভাব মূলত পরবর্তী সরকারের ওপর পড়বে।
আরও পড়ুন:
সেনাবাহিনীকে গাজায় অভিযান বন্ধের নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
দেশের বাজারে যেভাবে ছড়ানো হচ্ছে জাল নোট
বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, সরকারি কর্মচারীদের বেতন মূল্যস্ফীতির চেয়ে পিছিয়ে নেই। বিভিন্ন ভাতা যুক্ত হওয়ায় তারা তুলনামূলক ভালো অবস্থায় আছেন। তবে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, দারিদ্র্য বাড়ার সময়ে বেতন বাড়ানো কতটা যৌক্তিক।
জুলাই থেকে সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতনের ওপর ১০–১৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের ঝুঁকি ভাতা, মাদ্রাসা এমপিওভুক্তকরণ, প্রশিক্ষণ ও বৈদেশিক ভাতা বাড়ানোয় বাড়তি ব্যয়ের বোঝা তৈরি হয়েছে সরকারের জন্য।
সব মিলিয়ে, রাজস্ব আয়ে স্থবিরতা আর ক্রমবর্ধমান আর্থিক দায় সরকারের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।