নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকার উপকণ্ঠে শারদীয় দুর্গাপূজা মানেই রঙিন আলো, ঢাক-ঢোলের বাজনা আর ভক্তদের উচ্ছ্বাসে ভরপুর পরিবেশ। চারদিকে সাজসজ্জা, প্রতিমার সামনে প্রদীপ প্রজ্বলন আর ভক্তিমুখর প্রার্থনা। এর মাঝেই বুধবার (০১ অক্টোবর) ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান উপস্থিত হন কয়েকটি পূজামণ্ডপে।
তার আগমনে পূজামণ্ডপে উপস্থিত ভক্ত ও স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা উচ্ছ্বাসিত হয়ে ওঠেন। শুধু শুভেচ্ছা জানাতেই নয়, বরং পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়েই তিনি প্রবেশ করেন একেকটি মণ্ডপে।
ব্যারিস্টার অমি স্পষ্ট কণ্ঠে বলেন—
“মুসলমান সবচেয়ে বেশি নিরাপদ থাকবে, কিন্তু আপনাদের হিন্দুরা নিরাপদ থাকবে না—এমনটা হবে না। বাংলাদেশ সবার। নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সবার।”
তার এই উচ্চারণে ভক্তদের মুখে ভরসার আলো ঝলমল করে ওঠে। কেউ কেউ বলেন—এমন আশ্বাস তাদেরকে শুধু সাহসই দেয় না, বরং মনে করিয়ে দেয় এই দেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ।
পরিদর্শনকালে ব্যারিস্টার অমি একে একে ঘুরে দেখেন—
খোলামোড়া (কালিন্দী) হিন্দু মন্দির
খাগাইল হিন্দু মন্দির, কালিন্দী
ব্রাহ্মণকিত্তা নিতেন চন্দ্র বর্মন হিন্দু মন্দির
বরিশুর (কালিন্দী) হিন্দু মন্দির
গোপপাড় হিন্দু মন্দির, কালিন্দী
ভাগনা (কালিন্দী) হিন্দু মন্দির
প্রতিটি মন্দিরেই তিনি পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় ভক্তদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। কারো হাতে তুলে দেন শুভেচ্ছা উপহার, কারো সঙ্গে হাত মিলিয়ে খোঁজখবর নেন।
ভক্তরা যখন ধূপ-ধুনো নিয়ে প্রতিমার সামনে প্রার্থনা করছেন, তখন ব্যারিস্টার অমি দাঁড়িয়ে থাকেন এক পাশে। কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য নয়, বরং মানবিকতার পরিচয় দিয়ে তিনি বলেন—
“ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। পূজা মানে শুধু আনন্দ নয়, নিরাপদে মিলেমিশে থাকার বার্তাও। এদেশে কোনো ধর্মের মানুষকে ভয় নিয়ে বাঁচতে হবে না।”
তার এই সফরে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও সঙ্গে ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতে মণ্ডপগুলো যেন পরিণত হয়েছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মিলনমেলায়।
পূজা পরিদর্শনের এই উদ্যোগে এলাকাবাসীর মধ্যে ইতিবাচক সাড়া পড়েছে। অনেকে মনে করছেন, রাজনীতির মাঠে শুধু ভোট নয়, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এটাই প্রকৃত সময়।