October 27, 2025, 2:19 pm
Headline :
তথ্য অধিদপ্তরের ৪৫টি শূন্যপদে নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল চার মাসে মোংলায় নোঙর করেছে ২৫৫ বিদেশি জাহাজ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর ইসরায়েলি ড্রোন ও ট্যাঙ্ক হামলা শুধুমাত্র কিছু আসনের জন্য এনসিপি জোট করবে না: সারজিস আলম প্রাথমিকের পাঁচ ক্যাটাগরিতে ১৬৪ পদে নিয়োগের ফল প্রকাশ বিএনপি তিন বছর আগে থেকেই সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করেছে: মঈন খান নির্বাচনের প্রস্তুতি ৯০-৯৫ শতাংশে: ইসি সচিব যুক্তরাষ্ট্রে ‘বেজবাবা’ সুমনের সঙ্গে মঞ্চ মাতালেন আসিফ আকবর পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯টি বিভাগ বন্ধ, কম শিক্ষার্থী ভর্তির কারণে জাপানে এক লাখ দক্ষ বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের অগ্রগতি: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এনবিসিসি প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

মন্ত্রী-এমপিদের প্লট দিতে গিয়ে রাজউক ক্ষতির মুখে পড়েছে: পরিবেশ উপদেষ্টা

মন্ত্রী-এমপিদের প্লট দিতে গিয়ে রাজউক ক্ষতির মুখে পড়েছে: পরিবেশ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজউকের নগর পরিকল্পনা প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী মহলের চাপের কারণে প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি অভিযোগ করেন, মন্ত্রী-এমপিদের প্লট বরাদ্দ দিতে গিয়ে বনভূমি কেটে ফেলা হয়েছে, আর ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) প্রণয়নের সময় ব্যবসায়ীরা নিজেদের স্বার্থে তার বিরোধিতা করেছে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত “একটি টেকসই জীবন: বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির ওপর তাপের প্রভাব” শীর্ষক প্রতিবেদনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা জানান, তাপমাত্রা বৃদ্ধি এখন আর কেবল তাত্ত্বিক আলোচনা নয়—বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক বাস্তবেই এর প্রভাব অনুভব করছে। বৈশ্বিক এই সংকট বাংলাদেশে আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে, যা জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতিকে গুরুতর ঝুঁকির মুখে ফেলছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, গবেষণা প্রতিবেদন শুধু কাগজে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না; সুপারিশগুলোকে সময়সীমাবদ্ধ কর্মপরিকল্পনায় রূপ দিতে হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে নিজের দায়িত্ব পরিষ্কারভাবে চিহ্নিত করতে হবে এবং জাতীয় পর্যায়ের অংশীদারদের সমন্বিতভাবে দায়িত্ব নিতে হবে, যাতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ সম্ভব হয়।

নগর পরিকল্পনার দুর্বলতার প্রসঙ্গ টেনে রিজওয়ানা হাসান বলেন, তাপদাহ মোকাবিলায় নগর পরিকল্পনা নতুনভাবে ভাবতে হবে—“কম কংক্রিট, বেশি সবুজায়ন, কার্যকর গণপরিবহন, ছাদ বাগান এবং ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনার কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি।” তিনি উল্লেখ করেন, সিটি করপোরেশনগুলো ইতোমধ্যে সবুজায়ন উদ্যোগ নিয়েছে, তবে এটিকে আরও ব্যাপকভাবে বিস্তৃত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জলবায়ু সহনশীলতা নিশ্চিত করতে শুধু নীতি ও কাঠামোগত সংস্কারই নয়, নাগরিকদের আচরণগত পরিবর্তনও জরুরি। অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ ব্যবহার কমানোর মতো ছোট ছোট পদক্ষেপও বড় প্রভাব ফেলতে পারে। “সবুজ নগর মানেই সুস্থ জীবন”— মন্তব্য করেন পরিবেশ উপদেষ্টা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান বিষয়ক ডিভিশনাল ডিরেক্টর জাঁ পেসমে এবং দক্ষিণ এশিয়ার স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা বিভাগের প্র্যাকটিস ম্যানেজার ড. ফেং ঝাও।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশনস অফিসার ইফফাত মাহমুদ এবং সিনিয়র হেলথ স্পেশালিস্ট ওয়ামেক এ. রাজা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page