নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী নির্বাচনের পর গঠিত সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের জন্য কেনা হচ্ছে নতুন ৬০টি বিলাসবহুল গাড়ি। প্রতিটি গাড়ি মিতসুবিশি পাজেরো কিউএক্স মডেলের, যার দাম পড়ছে এক কোটি ৬৯ লাখ টাকা। শুধু এই গাড়ি কিনতেই ব্যয় হবে ১০১ কোটি টাকা।
এছাড়া জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) জন্য কেনা হচ্ছে আরও ২২০টি গাড়ি—১৯৫টি জিপ ও ২৫টি মাইক্রোবাস। সব মিলিয়ে ২৮০টি গাড়ি কিনতে সরকারের খরচ হবে প্রায় ৪৪৫ কোটি টাকা।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে—অন্তর্বর্তী সরকার কীভাবে পরবর্তী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে? ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, “এটা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়, তাদের ম্যান্ডেটও নয়। সিদ্ধান্তটি অনতিবিলম্বে বাতিল করা উচিত।”
অর্থ মন্ত্রণালয় অবশ্য জানিয়েছে, বিদ্যমান গাড়িগুলো (২০১৫-১৬ অর্থবছরে কেনা) প্রায় মেয়াদোত্তীর্ণ এবং বারবার মেরামত করতে হচ্ছে। তাই নতুন গাড়ি কেনার প্রস্তাবে তারা সম্মতি দিয়েছে।
তবে আইন অনুযায়ী মন্ত্রীদের জন্য মূলত ‘কার’ কেনা যায়, জিপ নয়। আইন সংশোধন ছাড়া এসব জিপ কেনার বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় হলো—নতুন মন্ত্রিসভার আকার কী হবে, তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন সর্বোচ্চ ৩৫ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর সুপারিশ করলেও কেনা হচ্ছে ৬০টি গাড়ি। ফলে সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই।