নিজস্ব প্রতিবেদক
পাইকারি বাজারে কিছুটা দাম কমলেও খুচরা বাজারে এখনও আগুন পেঁয়াজ। প্রতিদিন বাজার করতে গিয়ে নিত্যপণ্যের এই অস্থিরতা ভোক্তাদের চরম বিপাকে ফেলেছে। একদিকে সবজির অস্বাভাবিক দাম, অন্যদিকে পেঁয়াজ আর ডিমের বাজারের অস্থিরতা—সব মিলিয়ে জনজীবনে চাপ বাড়ছে দিন দিন।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, গাবতলী ও অন্যান্য খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৭৫ থেকে ৮৫ টাকায়। যদিও পাইকারি পর্যায়ে দাম কিছুটা কমেছে, তবে সেই সুবিধা খুচরা বাজারে পৌঁছাচ্ছে না।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি ৬৮ থেকে ৭০ টাকায় কিনলেও পরিবহন খরচ, ভাড়া এবং অন্যান্য খরচ যোগ হয়ে খুচরায় দাম আরও বেড়ে যাচ্ছে।
খুচরা বিক্রেতা জাহেদ হোসেন বলেন, “আমরা উচ্চ দামে কিনছি, আবার পরিবহন খরচ যোগ হচ্ছে। তাই ৭৫ টাকার নিচে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।”
অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছেন। সরকারের বাজার মনিটরিং যথেষ্ট কার্যকর নয় বলেও তাদের দাবি।
শুধু পেঁয়াজই নয়, গরিবের সহজলভ্য খাদ্য ডিমও এখন হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। হালিতে দাম ৫০ টাকা পর্যন্ত গড়িয়েছে।
গৃহিণী সুমি আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আগে ৩৫ টাকায় হালি ডিম কিনতাম, এখন ৫০ টাকা লাগে। চাল, ডাল, তেল সবকিছুর দাম বাড়ছে—মানুষ কীভাবে সংসার চালাবে?”
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরবরাহ ব্যবস্থায় গড়মিল ও মৌসুমি অজুহাত দেখিয়ে অনেক ব্যবসায়ী অতি মুনাফা করছেন। তাদের মতে, সরকারের শক্ত নজরদারি ছাড়া বাজার স্থিতিশীল হবে না।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, নিয়মিত বাজার মনিটরিং ও অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে তারা স্বীকার করেছেন, সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে বা অসাধু সিন্ডিকেট সক্রিয় থাকলে শুধুমাত্র অভিযান দিয়ে দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।