নিজস্ব প্রতিবেদক,
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সাম্প্রতিক সময়ে দৃশ্যত উন্নতির দিকে। থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোরশেদ আলম দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নানা উদ্যোগ ও নিয়মিত অভিযানের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে স্থানীয়দের আস্থা অর্জন করেছেন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ওসি মোরশেদ আলম চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, রাহাজানী, ভূমি দখল, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, নারী ও শিশু নির্যাতন, মানবপাচার, মাদকদ্রব্যের বিস্তার ও রাজনৈতিক সহিংসতা প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছেন। তার নেতৃত্বে অসংখ্য মাদকদ্রব্য, অবৈধ অস্ত্র, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার এবং ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আগে সোনাপুর, জয়াগ, আমিশাপাড়া, ছাতারপাইয়া, দেওটি প্রভৃতি এলাকায় ছিনতাই, যানজট, দখলদারি, চাঁদাবাজি এবং থানার নাম ভাঙিয়ে হয়রানির মতো ঘটনা ঘটত। কিন্তু বর্তমান ওসির দায়িত্বকালীন সময়ে এ ধরনের অপরাধ অনেক কমে এসেছে।
থানার কর্মকর্তাদের মতে, একজন সৎ, দক্ষ ও সাহসী অফিসারের অধীনে কাজ করা গর্বের বিষয়। ওসি মোরশেদ আলম থানায় আগত ভুক্তভোগীদের সরাসরি তার সঙ্গে যোগাযোগ করার আহ্বান জানান, যাতে কোনো দালাল বা প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে যেতে না হয়। এর ফলে আইনি সহায়তা এখন আরও সহজলভ্য হয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে থানার সেবায় এনেছেন নতুনত্ব।
স্থানীয়রা বলছেন, “বর্তমানে থানায় টাউট-বাটপার বা দালালের কোনো দৌরাত্ম নেই। প্রতারণার শিকার না হয়েই আমরা ওসির কাছে সরাসরি সমস্যার সমাধান পাচ্ছি।” সাধারণ মানুষের মতে, এমন সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা পুলিশ বাহিনীর গর্ব। তারা চান, ওসি মোরশেদ আলমের মতো কর্মকর্তার নেতৃত্বেই থানার কার্যক্রম অব্যাহত থাকুক।
নিজ দায়িত্বের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এই কর্মকর্তা বলেন, “আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। যে কোনো সমস্যায় সরাসরি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। মনে রাখোবেন, আইন সবার জন্য সমান।”
প্রসঙ্গত, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি অপরাধ নির্মূল ও জনসেবায় অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।