July 31, 2025, 7:08 pm
Headline :
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে দ্বিধা কাটিয়ে এক জায়গায় পৌঁছা যাবে: ফখরুল ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জে উচ্ছেদ অভিযান নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই, একদিনও দেরি হবে না: প্রেস সচিব সন্তান পায়নি বাবার অধিকার, ‘আমার সন্তানের বাবার পরিচয় চাই’ ধামইরহাট সীমান্তে বিএসএফের ১০ নারী-পুরুষকে পুশ ইন; বিজিবি’র হাতে আটক ইজিবাইকচালক হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড অতি দ্রুত জুলাই সনদ সাক্ষরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত: আলী রীয়াজ ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’– স্লোগান দিয়ে শাহবাগ অবরোধ দুর্নীতির মামলায় শেখ হাসিনার বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রাশিয়ান ড্রোন হামলায় বিপর্যস্ত ইউক্রেন

ভোটের তারিখ: ৫ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করবে বিএনপি, পরিবেশ নিয়ে খুশি নয় জামায়াত

ভোটের তারিখ: ৫ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করবে বিএনপি, পরিবেশ নিয়ে খুশি নয় জামায়াত

নিজস্ব প্রতিবেদক,
২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও, এখনো নির্বাচন কমিশন কিংবা প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো ঘোষণা আসেনি।

সম্প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকেও নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার বিষয়টি আলোচনায় আসে। যদিও প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে আশ্বস্ত করেছেন, তবুও দলগুলোর মধ্যে সংশয় কাটেনি।

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, “আমরা আশাবাদী, রোজার শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ আগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং এজন্য নির্বাচন কমিশনকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় নির্দেশনা দেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, ৫ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করবে বিএনপি।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “নির্বাচন কমিশনকে এখনই রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা দেওয়া জরুরি। তবেই সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে যে প্রশ্ন উঠছে, তা দূর হবে।”

অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী সরকারের নির্বাচনী প্রস্তুতির সমালোচনা করলেও সুনির্দিষ্ট ঘোষণার দাবি করেনি। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “সরকার বলছে সেরা নির্বাচন দেবে। কিন্তু দেশে এখনও নির্বাচন উপযোগী পরিবেশ নেই।”

এছাড়াও, রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে গঠন ও বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অপসারণের দাবি জানায়।

সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, “বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদে এমন কিছু ব্যক্তি আছেন, যারা নিরপেক্ষতা হারানোর কারণ হতে পারেন। তাদের অপসারণ জরুরি।”

জামায়াতের আযাদ জানান, “যাদের মন্ত্রণালয়ে সাফল্য আছে তারা থাকুক, বাকিদের পরিবর্তন করা হোক।”

সাইফুল হক জানান, “১০-১২ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকারকে সত্যিকার অর্থে তত্ত্বাবধায়ক চরিত্রে কাজ করতে হবে—কোনো দলীয় সহানুভূতি বা পক্ষপাত বাদ দিয়ে।

রাজনৈতিক দলগুলোর মতে, জুলাই সনদ ও গণহত্যার বিচারে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। তাই প্রতিশ্রুত সময়েই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে কোনো বাধা নেই। তাই সুনির্দিষ্ট ঘোষণায় বিলম্ব হলে দেখা দেবে আস্থার সংকট। সেই সাথে সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নের মুখে পড়লে নির্বাচনকালীন নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবিও উঠতে পারে বলে মত নেতাদের।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page