মোঃ জোনাব আলী
বর্তমানে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গলা ফাটাচ্ছেন এক সময়ের সুবিধাভোগী, সাবেক এমপি পুত্র রাশেক রহমান। বিভিন্ন অনলাইন টক-শোতে বসে রাশেক এখন জ্ঞান বিতরণ করেন—ওবায়দুল কাদের নাকি যোগ্য সাধারণ সম্পাদক ছিলেন না, অথচ শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশ কল্পনা করতে পারেন না! কী নিদারুণ দ্বিচারিতা! একদিকে আওয়ামী লীগের সমালোচনা, অন্যদিকে শেখ হাসিনা বন্দনা—আপনার মতো সুবিধাবাদীর মুখে এসব কথার মানে কী?
ভুলে গেছেন? এক সময় আপনার টক-শো প্রচারে মাইকিং হতো, এসএমএস যেত—মিঠাপুকুরবাসীকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিলো সেই প্রচারণা। আর টিভি পর্দায় আপনাকে দেখে মনে হতো—একজন মানুষ কিভাবে এত ঠাণ্ডা মাথায় এতটা মিথ্যা বলতে পারে? কথায় কথায় উন্নয়নের বুলি, বাস্তবে শুধু দমন-পীড়ন আর গায়েবী মামলা।
আপনি জামায়াত-বিএনপির লোকদের উপর যা করেছেন তা শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়, ছিলো নৈতিক পচনের জঘন্য উদাহরণ। বৈরাতীতে দোকান লুট, ছড়ানে মামলা—ছাত্র, যুবক, বৃদ্ধ—কেউ রেহাই পায়নি। রাজনীতি নয়, ছিলো এটা নিপীড়নের এক নগ্ন খেলা, যেখানে আপনি খেলোয়াড়, আর সাধারণ মানুষ ছিল শিকার।
পতনের আগ মুহূর্তেও আপনার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী জাকির হোসেনের সমর্থকদের ডেকে এনে হুমকি-ধমকি দিয়েছেন, আতঙ্ক সৃষ্টি করেছেন ভোটের নামে। ভুলে গেলেন?
আমরা জানি, এখন টক-শোতে বড় বড় বুলি আওড়িয়ে আপনি নিজের পিঠ বাঁচাতে চাইছেন, নতুন করে ‘গণতন্ত্র’ শেখাচ্ছেন। কিন্তু ইতিহাস বড় নির্মম—যারা অন্যের ঘাড়ে পা রেখে উঠেছিলো, তাদের পতন সবচেয়ে ভয়াবহ হয়।
রাশেক রহমান, যদি প্রকৃতি সত্যিই ন্যায়ের প্রতিশোধ নেয়, যদি আল্লাহর বিচার বলে কিছু থাকে—তাহলে আপনাকে বাংলাদেশে ফিরতে হবে। মিঠাপুকুরবাসী সেই দিন দেখবে—যখন আপনি নিজেই হবেন গায়েবী মামলার আসামি, আপনি নিজেই হবেন জেলের বন্দি। অপেক্ষা সেই দিনের… যখন সত্যিকারের বিচার ইতিহাসের হাত দিয়ে সম্পন্ন হবে।