অনলাইন ডেস্ক
খাগড়াছড়িতে টানা অবরোধ ও ১৪৪ ধারা জারির কারণে পুরো জেলায় অচলাবস্থা বিরাজ করছে। সিঙ্গিনালা এলাকায় এক স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’ নামের একটি সংগঠন এ অবরোধ ডেকেছে। তাদের দাবি, দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।
অবরোধের কারণে জেলার ভেতরে ও বাইরে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। বাজার-দোকানপাটও খোলা যায়নি। সোমবার ভোর থেকে জেলার বিভিন্ন সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং করেন অবরোধকারীরা। ফলে পাহাড়ি জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে।
এর আগে গত রোববার গুইমারায় বিক্ষোভ চলাকালে গুলি বিনিময়ের ঘটনায় তিনজন স্থানীয় নিহত হন। আহত হন সেনাবাহিনীর ১৩ সদস্য ও পুলিশের ৩ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন। এরপর থেকেই পুরো গুইমারা উপজেলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এলাকাজুড়ে টহল জোরদার করেছে।
শনিবার দুপুর থেকে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ও পৌরসভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। গুইমারাতেও একই ধারা এখনো বহাল আছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অবরোধের সময় কোথাও কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। রাতেই অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় শয়ন শীল (১৯) নামে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।