অনলাইন ডেস্ক:
নাটোর–১ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা ঘিরে ভাই–বোনের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র বিরোধ। সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত ফজলুর রহমান পটলের মেয়ে ফারজানা শারমিন (পুতুল) যখন দলীয় মনোনয়ন পেলেন, তখন তারই ভাই ইয়াসির আরশাদের সমর্থকেরা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভে নামেন।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত লালপুর উপজেলার কদিমচিলান ও গৌরিপুর মোড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ফারজানা শারমিনের ঘোষণার পরপরই ইয়াসির আরশাদের সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। এতে জিল্লুর রহমান নামে এক কর্মী আহত হন। তার রক্তাক্ত ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রাত ১০টার দিকে কদিমচিলান এলাকায় নাটোর–পাবনা মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়।
ফারজানা শারমিন সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত ফজলুর রহমান পটলের মেয়ে। তার ছেলে ইয়াসির আরশাদও একই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। সেদিন সন্ধ্যায় ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি দলের পক্ষ থেকে ১৩টি আসনে মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এতে নাটোর–১ এ ফারজানা শারমিন, নাটোর–২ এ রুহুল কুদ্দুস তালুকদার (দুলু) ও নাটোর–৪ এ আব্দুল আজিজের নাম চূড়ান্ত করা হয়।
মনোনয়ন ঘোষণা হতেই ইয়াসির আরশাদের সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। এতে জিল্লুর রহমান নামে এক কর্মী আহত হন। তার রক্তাক্ত ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রাত ১০টার দিকে কদিমচিলান এলাকায় নাটোর–পাবনা মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়। এতে মহাসড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে আগুন নিভিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক করে। কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, কেউ অভিযোগও করেনি।
অন্যদিকে, নাটোর–২ আসনে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর মনোনয়ন ঘোষণার পর কানাইখালি, আলাইপুর ও স্টেশনবাজার এলাকায় কর্মীরা আতশবাজি ও পটকা ফাটিয়ে আনন্দ উদযাপন করেন। আনন্দমুখর পরিবেশে মিষ্টিও বিতরণ করা হয়।