October 27, 2025, 2:59 pm
Headline :
তথ্য অধিদপ্তরের ৪৫টি শূন্যপদে নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল চার মাসে মোংলায় নোঙর করেছে ২৫৫ বিদেশি জাহাজ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর ইসরায়েলি ড্রোন ও ট্যাঙ্ক হামলা শুধুমাত্র কিছু আসনের জন্য এনসিপি জোট করবে না: সারজিস আলম প্রাথমিকের পাঁচ ক্যাটাগরিতে ১৬৪ পদে নিয়োগের ফল প্রকাশ বিএনপি তিন বছর আগে থেকেই সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করেছে: মঈন খান নির্বাচনের প্রস্তুতি ৯০-৯৫ শতাংশে: ইসি সচিব যুক্তরাষ্ট্রে ‘বেজবাবা’ সুমনের সঙ্গে মঞ্চ মাতালেন আসিফ আকবর পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯টি বিভাগ বন্ধ, কম শিক্ষার্থী ভর্তির কারণে জাপানে এক লাখ দক্ষ বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের অগ্রগতি: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এনবিসিসি প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

“প্রতিপক্ষ নিধনের এজেন্ডায় জড়িতরা অন্ধ সহযোগী ছিলেন” — জামায়াত আমির

"প্রতিপক্ষ নিধনের এজেন্ডায় জড়িতরা অন্ধ সহযোগী ছিলেন" — জামায়াত আমির

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান অভিযোগ করেছেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের প্ররোচনায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমন অভিযানে সেনাবাহিনীর কিছু কর্মকর্তা অন্ধভাবে সহযোগিতা করেছেন। তাদের ভূমিকার কারণে দেশে গুম ও রাজনৈতিক হত্যার ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল, যা জাতির জন্য এক গভীর দুর্ভাগ্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ বক্তব্য দেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী নিয়ে জাতি গর্বিত। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে এই বাহিনীর কিছু সদস্য দেশের প্রচলিত আইন এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছেন।”

তিনি জানান, যেসব সেনা কর্মকর্তা খুন ও গুমের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সেনাবাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, এ বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো অবিচার হবে না এবং প্রকৃত দোষীরাই শাস্তি পাবেন।”

জামায়াত আমির আরও বলেন, “কয়েকজন ব্যক্তির অপরাধের দায় পুরো বাহিনীর ওপর চাপানো যায় না। প্রতিষ্ঠানকে কলঙ্কিত না করে অপরাধী ব্যক্তিদেরকেই দায়ী করতে হবে।”

“প্রতিপক্ষ নিধনের এজেন্ডায় যারা অংশ নিয়েছে, তারা ছিল একপ্রকার অন্ধ সহযোগী,” — মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচার শুধুমাত্র ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে না, বরং ভবিষ্যতে কেউ আর নিজের পেশাগত পরিচয় ব্যবহার করে জনগণের ক্ষতি করার সাহস পাবে না। তাঁর মতে, এতে করে দীর্ঘমেয়াদে জাতি উপকৃত হবে এবং অতীতের দায়মুক্ত একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page