October 29, 2025, 8:02 am
Headline :
এনসিপির সঙ্গে জোট গুঞ্জন খণ্ডন করল গণঅধিকার: রাশেদ খানের মন্তব্য হাসিনার প্লট দুর্নীতি মামলায় সাবেক রাজউক সদস্য খুরশীদের আত্মসমর্পণ মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের নতুন সুযোগ, নির্ধারিত শর্তাবলি প্রকাশ ভিয়েতনামে একদিনে রেকর্ড বৃষ্টি, ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত হুয়ে ও হোই আন বিজিএমইএ সভাপতির অবস্থানে বিস্ময়ের কিছু নেই: উপ-প্রেস সচিব চট্টগ্রামে যুবদলকর্মী সাজ্জাদ হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৮ ’’সাবেক সচিবের গাড়িচালকের পুকুরে যেতে ৩১ লাখ টাকার সরকারি সেতু’’ ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর প্রধানমন্ত্রীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ভেনেজুয়েলার আনসার ভিডিপি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত দাবি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেননি রিজওয়ান, জানালেন নিজের শর্ত

দুর্নীতি মামলায় খালাস পেলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

নিজস্ব প্রতিবেদক :

১৬ বছর আগের দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৫ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক কামরুল হাসান খান তাকে খালাসের রায় দেন।

রায় শুনতে আজ আদালতে হাজির হয়েছিলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তার আইনজীবী বোরহান উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ১৯ আগস্ট আদালত রায়ের জন্য গত ২৮ অগাস্ট নির্ধারণ করেন। তবে কয়েক দফা পেছানো হয় রায়ের দিন।

২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক এসএম মফিদুল ইসলাম বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, রায়ের বাজারে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের একটি ছয়তলা বাড়ি রয়েছে, যার নির্মাণ ব্যয় ৪০ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং কেরানীগঞ্জে পৈত্রিক জমিতে তার বাড়ির নির্মাণ ব্যয় ১৫ লাখ ৪ হাজার টাকা। অথচ গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃক ওই বাড়ি দুটির অতিরিক্ত নির্মাণ ব্যয় পাওয়া যায় ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৫ টাকা, যা তার গোপন করা এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত হয়। 

এছাড়া গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাসায় ব্যবহার্য ৫৮ হাজার ৬০০ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী পাওয়া যায়, যা তার ঘোষণা ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ২০০৪-২০০৫ সালে ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ার সুবাদে অবৈধভাবে প্রভাব খাটিয়ে মেসার্স আব্দুল মোনেম লিমিটেড ও রেজা কন্সট্রাকশন লিমিটেড নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা গ্রহণ করেন, যা তার অবৈধ অর্জন। তার বাড়ি নির্মাণ, ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের মাধ্যমে অর্জিত মোট সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৮৬ লাখ ৯৫ হাজার ১০৫ টাকা। এসব অর্থ সম্পদ তিনি অবৈধভাবে অর্জন করেছেন মর্মে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

মামলাটি তদন্ত শেষে একই বছরের ৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এস. এম. মফিদুল ইসলাম। ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। আসামির আত্মপক্ষ শুনানি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত থেতে আজ রায় এলো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page