নিজস্ব প্রতিবেদক:
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট থানা নিয়ে উঠেছে গুরুতর অভিযোগ। থানার হাজতে রাখার বদলে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দেওয়া হয়েছিল আলাদা কক্ষ, খাট-বালিশ, সিগারেট এমনকি মোবাইলে কথা বলার সুযোগও। বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে, আর এর জেরেই প্রত্যাহার করা হয়েছে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদ আলমকে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোসাইরহাট সার্কেল) তানভীর হোসেন।
জানা গেছে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে সাজাপ্রাপ্ত আসামি লিটন হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়। নিয়ম অনুযায়ী তাকে হাজতে রাখার কথা থাকলেও, ওসির নির্দেশে তাকে বিশেষ কক্ষে রাখা হয়। সেখানে খাট-বিছানা দিয়ে আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করা হয়। এমনকি সিগারেট ও মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগও দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার এ ঘটনার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। নানা প্রশ্ন ওঠে পুলিশের ভূমিকা ও ন্যায়বিচার নিয়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মাকসুদ আলম দাবি করেন, আসামি অসুস্থতার কথা বলায় তাকে আলাদা কক্ষে রাখা হয়েছিল। তবে ভিআইপি সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ তার জানা নেই।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর হোসেন বলেন, “ঘটনার পর ওসি মাকসুদ আলমকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন—“আইনের চোখে সবাই সমান, তবে থানায় এভাবে বিশেষ সুবিধা কেন?”।