সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী ২০ মামলার আসামী সাহেব আলী (৩৮) কে সুনামগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জে র্যাব-১১’র সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লে. কর্ণেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃত সাহেব আলী সিদ্ধিরগঞ্জের আটি ওয়াপদা কলোনী এলাকার মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লে. কর্ণেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, গত বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬ টায় র্যাব-১১ এবং র্যাব-৯ এর যৌথ আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ থানার মান্নান ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাহেব আলীকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, সাহেব আলী সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার চিহ্নিত ও শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সিদ্ধিরগঞ্জবাসী অতিষ্ঠ ছিল। তাছাড়া এই সাহেব আলী তার বাহিনীর মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সময় অস্ত্রসহ শোডাউনের মাধ্যমে এলাকাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে নিরীহ জনগণের কাছ থেকে ছিনতাই, চাঁদাবাজী, লুটপাট, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিল।
তার বিরুদ্ধে কথা বলা ও তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বাঁধা দেওয়ার কারণে সে তার বাহিনী নিয়ে এলাকার অনেক লোককে মারধর করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম এবং ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তার বিরুদ্ধে আইনশঙ্খলা বাহিনীর ছদ্মবেশে ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রায় সময় বাঁধার সম্মুখীন হয়েছে। যখনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেফতার করতে যেত তখনই সে তার বাহিনী দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে গ্রেফতার এড়ানোর চেষ্টা করত।
উল্লেখ্য, এই সন্ত্রাসী গ্রুপের ৬ জন ঘনিষ্ঠ সহযোগীদেরকে গত ৬ অক্টোবর গাজীপুরের গাছা থানার চান্দুরা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সাহেব আলীর নামে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি-ছিনতাই ৭টি, মাদক ২টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ১টি, নাশকতা ও সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ৩টি ও সরকারী কর্তব্যে বাঁধা প্রদান ৫টি এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ছদ্মবেশে ডাকাতির ২টি মামলাসহ সর্বমোট ২০টি মামলা রয়েছে।