October 28, 2025, 4:54 am
Headline :
গুলিতে স্বপ্নভঙ্গ: পাইলট হওয়ার আশা এখন হুইলচেয়ারে বন্দি শিশু মুসা নিজেই অপহরণের নাটক সাজানোর কথা স্বীকার করলেন মুফতি মুহিব্বুল্লাহ অনুমতি ছাড়াই বিচারক ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে দুদক ২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার জার্সিতে খেলতে চান মেসি চট্টগ্রামে লরির ধাক্কায় লাইন থেকে উল্টে পড়লো ট্রেন, চাপা পড়ে নিহত ১ বাংলাদেশ উপকূলে বৃষ্টির সম্ভাবনা, সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত পুলিশ হেফাজতে টঙ্গীর সেই খতিব, ‘নিখোঁজ নাটকের’ পেছনের আসল ঘটনার স্বীকারোক্তি জার্মানিতে বার্ড ফ্লুর প্রাদুর্ভাব: পাঁচ লাখ হাঁস-মুরগি নিধন চট্টগ্রামে ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে যুবক নিহত দুজনের জুটির সাফল্য অনেকের ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল

বেনাপোলে ভুয়া মেনিফেস্টের বাণিজ্য, কোটি টাকার পণ্য জব্দ হলেও সিন্ডিকেট অদৃশ্য

বেনাপোলে ভুয়া মেনিফেস্টের বাণিজ্য, কোটি টাকার পণ্য জব্দ হলেও সিন্ডিকেট অদৃশ্য

বেনাপোল প্রতিনিধি

দেশের সবচেয়ে ব্যস্ত স্থলবন্দর বেনাপোলে ভুয়া মেনিফেস্ট ব্যবহার করে পণ্য আমদানির প্রবণতা থামছেই না। প্রায় প্রতিদিনই কোটি টাকার অবৈধ মালামাল জব্দ হচ্ছে। অথচ এই অবৈধ বাণিজ্যের নেপথ্যের শক্তিশালী সিন্ডিকেট এখনো অদৃশ্য। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের রহস্যজনক নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ আমদানিকারকরা।

২৪ সেপ্টেম্বর রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় একটি কাভার্ডভ্যান বেনাপোল বন্দরের কার্গো ইয়ার্ড থেকে জব্দ করা হয়। গাড়িটি ইয়ার্ডে প্রবেশের পর চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। বর্তমানে ট্রাকটি কাস্টমস হাউসের তত্ত্বাবধানে সিলগালা করে রাখা হয়েছে। তবে ট্রাকে আসলে কী মালামাল আছে, তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

গোপন সূত্র জানায়, কাভার্ডভ্যানে বডি স্প্রের আড়ালে উচ্চ শুল্কযুক্ত ফেব্রিক্স আমদানি করা হচ্ছিল। অভিযানে জব্দকৃত পণ্য চালানের সঙ্গে জড়িত আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘রাইচ ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল’ এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘বিলিসিভ কসমেটিকস লিমিটেড’।

বন্দরের ব্যবসায়ী মহল বলছে, প্রতিবার কেবল ট্রাকচালক বা হেলপার ধরা পড়ছে, কিন্তু মূল কারবারিরা থেকে যাচ্ছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। ফলে বৈধ ব্যবসায়ীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সিন্ডিকেটকে আড়াল করার অভিযোগ উঠছে বন্দরের কিছু প্রভাবশালী কর্মকর্তা ও স্থানীয় চোরাচালানিদের বিরুদ্ধে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান স্বজন বলেন—
“শুধু কয়েকজন আনসার দিয়ে বন্দর পাহারা দিয়ে অবৈধ আমদানি রোধ করা সম্ভব নয়। এখানে প্রশাসনিক গাফিলতি দৃশ্যমান। দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সমন্বয় ছাড়া এই বন্দর থেকে রাজস্ব ফাঁকি ঠেকানো যাবে না।”

বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামীম হোসেন জানিয়েছেন, জব্দকৃত গাড়ি কাস্টমসের নির্দেশে যেকোনো সময় খোলা হতে পারে। তিনি আরও বলেন, “বন্দরে অনিয়মের কারণে ইতিমধ্যে ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে তল্লাশি ও সিসিটিভি মনিটরিং বাড়ানো হচ্ছে। আমরা শুধু আটক অভিযানে সীমাবদ্ধ নই, মূল হোতাদের ধরার দিকেই নজর দিচ্ছি।”

নিয়মিত অবৈধ পণ্য ধরা পড়ছে, এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর রাতে বিজিবি বেনাপোল বাইপাস সড়ক থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকার ভারতীয় শাড়ি, থ্রিপিস, কসমেটিকস, ওষুধ ও মোটরসাইকেলের টায়ার জব্দ করে। দুজনকে আটক করা হলেও মূল সিন্ডিকেটকে চিহ্নিত করা যায়নি।

রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার, প্রতিদিনই কোটি কোটি টাকার পণ্য ভুয়া মেনিফেস্টের মাধ্যমে আমদানি হওয়ায় বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর মতে, চোরাচালানি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা না নিলে এ প্রবণতা বন্ধ হবে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page